ঢাকা, বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় : এনডিবির নেতা মোমিন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১১ পিএম

মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় : এনডিবির নেতা মোমিন


নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায়; বিলুপ্ত হতে না চাইলে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শকে লালন করুন। নতুনধারার উদ্যোগে ১৭ নভেম্বর সকালে ‘মওলানা ভাসানীর আদর্শ এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। 

এসময় নতুনধারার নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, আজ সারাদেশে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য যারা বাড়াচ্ছে, তারা রাজনীতির নামে অপরাজনীতিকদেরকে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার সাপোর্ট দিয়ে অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু তা সম্ভব নয় বিধায়-ই ইতিহাস বিকৃতিকারীরাই হারিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে  দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী হয়ে গেছে। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য রুবেল আকন্দ, শাহনাজ সাথী প্রমুখ।

মোমিন মেহেদী এসময় আরো বলেন, আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ মওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করলেও তাঁর জীবনের বড় অংশ কেটেছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি। আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন।

নতুনধারার রাজনীতিকগণ মওলানা ভাসানীর মত করে শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য নিরন্তর রাজপথে থাকার অঙ্গিকারাবদ্ধ।