ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে : স্বাগতা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১২ পিএম

ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে : স্বাগতা


বিনোদন জগতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। বছরের শুরুতেই প্রেমিকবন্ধু ড. হাসান আজাদের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই জানালেন বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে এক বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দুজনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। 

এর আগে স্বাগতা সাত বছর প্রেমের পর বিয়ে করেছিলেন চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানকে। ছয় বছর সংসারের পর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।

স্বাগতা একাধারে অভিনয়শিল্পী, উপস্থাপিকা ও গায়িকা। অন্যদিকে হাসানও একজন আর্টিস্ট। পাশাপাশি গানও করেন তিনি। স্বাগতার সব কাজকেই অ্যাপ্রিশিয়েট করেন হাসান। স্বাগতা বলেন, আমার কাজকে হাসান সবসময় সাপোর্ট করে। এ বিষয়টি আমার মন ছুঁয়ে যায়। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এক হওয়ার। ভেবেছি আমাদের বোঝাপড়া ঠিকঠাক। একসঙ্গে বাকি জীবন পার করা যায়। সবাই আমাদের জন্য শুভকামনা রাখবেন।

স্বাগতার স্বামী লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়ালেখা সবই যুক্তরাজ্যে। সংগীত জগতের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। ড. হাসান একাধারে গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

স্বাগতা বলেন, আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দুজনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাইবোনও বলেছে— কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে এলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা। এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল...। তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখ, সারাজীবন থাকতে পারবে কিনা? তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিও।

এ অভিনেত্রী বলেন, সমাজও আমাদের বিষয়টি মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছি, কিন্তু পরে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।

স্বাগতা বলেন, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে একদিন এক বান্ধবীর সঙ্গে  রাজধানীর একটি ক্লাবে যান তিনি। সেখানেই হাসান আজাদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর অনেক দিন দেখা হয়নি তাদের। তবে নভেম্বরে আবার তাদের দেখা হয়। সেই সময় হাসান আজাদ আমাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি আমাকে পছন্দ করেন। এরপরই কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই একসঙ্গে থাকার।