এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
বিদ্যুৎ বিভাগ আগামী গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চিন্তা ও উদ্বেগ রয়েছে। গত বছরের গ্রীষ্মে ১৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়েছিল, এবার পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানাচ্ছে, মার্চ থেকে শুরু হওয়া গ্রীষ্ম, রমজান ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। প্রতি বছরই গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যায়, বিশেষ করে রমজান ও সেচ মৌসুমের কারণে। গত বছর গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল, তবে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি ছিল অস্বস্তিকর।
এবার বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা পূরণ করাটা আরও কঠিন হতে পারে। কারণ, গত বছর কয়লা ও ডলার সংকটের কারণে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছিল, আর এবারও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম একই অবস্থানে রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে সেচের জন্য অতিরিক্ত ১,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। মার্চ থেকে রমজানের জন্য বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে, যা গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে মিলে যাবে। বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে ৩ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে যদি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু না রাখা যায়।
এদিকে পিডিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিশ্চিত করা হবে। তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি সংকট আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে এই গ্রীষ্মে চ্যালেঞ্জ বড় হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিশেষ করে যখন বিদ্যুৎ চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সরকার যদি সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তবে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে।