এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে দেশটির ১.৫ লাখের বেশি নাগরিক একটি পার্লামেন্টারি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ট্রাম্প কানাডার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছেন। এমনকি তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকিও দিয়েছেন।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এই পিটিশনটি উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে পিটিশনটি পরিচালিত হয়। পিটিশনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন। এ কারণে তাঁর কানাডীয় নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর মায়ের সূত্রে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। মাস্কের মা কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে মাস্ক টেসলা, স্পেসএক্স এবং এক্স (পূর্বে টুইটার) এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কানাডীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলেছেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, মাস্ক এমন এক বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করতে চায়।
কানাডীয় সংবিধান অনুযায়ী, এ ধরনের পিটিশনে ৫০০ স্বাক্ষর পেলে তা পার্লামেন্টে উপস্থাপনের যোগ্য হয়। রিডের পিটিশনে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে এবং সংখ্যাটি বাড়ছে। কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাস্কের ট্রাম্প-সমর্থক ভূমিকা কানাডীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়ে তুলেছে। এই পিটিশন কানাডার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে।