বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে পারে আগামী বুধবার। এই দলের নেতৃত্ব ও পদবিন্যাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সূত্রমতে, দলের আহ্বায়ক হিসেবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে।  

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নতুন দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছেন। হাসনাত আবদুল্লাহকে দলের মুখপাত্র এবং সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়াও, আলী আহসান জোনায়েদকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীকে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হতে পারে। আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।  

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব এবং যুগ্ম সদস্য সচিব অনিক রায়ও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেওয়া হতে পারে।  

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী প্রায় সব নেতাই নতুন দলে যুক্ত হতে আগ্রহী। তবে পদসংখ্যা সীমিত হওয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন শীর্ষ নেতারা। নতুন দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাবেক আমলা ও সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যুক্ত হওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।  

দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানকে ঘিরে তরুণ নেতারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতির লক্ষ্য নিয়ে জমকালো আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দলের আত্মপ্রকাশের তারিখ টার্গেট করা হলেও তা এক-দুই দিন পিছিয়ে যেতে পারে।  

নতুন এই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে সব মহলে কৌতূহল রয়েছে।