এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:০২ পিএম
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব দাবি করেছে, বাংলাদেশে ২৯.৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর। ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাত্র দুইজন ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত এক ছোট প্রতিষ্ঠানে এই পরিমাণ অর্থ প্রদান হয়েছে – যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় ব্যাপক বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়েছে।
ডিসমিসল্যাবের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডজ) দ্বারা প্রকাশিত খবরটি বিভ্রান্তিকর। বাস্তবে, ২৯.৯ মিলিয়ন ডলার কোনও ছোট প্রতিষ্ঠানকে গমন করে নি। বরং, এই অর্থায়ন "স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ" (এসপিএল) নামক একটি প্রকল্পের আওতায় চলে, যা যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়িত। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন দেশে ২১৮টি প্রকল্প পরিচালনা করেছে এবং বাংলাদেশে এদের ১২টি প্রকল্প রয়েছে।
ইউএস স্পেন্ডিং ডট গভ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে ইউএসএআইডির অর্থায়নে সুশাসন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও নাগরিক সমাজের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রায় ২৯ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এসপিএলের অধীনে, পলিটিকস ম্যাটার্স বাংলাদেশ, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট, পিস প্রেশার গ্রুপ ও ইয়াং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ চলছে। ইয়াং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় AW, BNP ও জাতীয় পার্টির ৫৩৬ তরুণ নেতা প্রশিক্ষিত হয়েছে।
ডিসমিসল্যাব সতর্ক করে দিয়েছে, ট্রাম্পের ভুল তথ্যের ফলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিনিয়োগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পরিবেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, উক্ত ২৯.৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের অর্থ বাস্তবে বাংলাদেশের ছোট কোনো প্রতিষ্ঠানে যাবে না, বরং এটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।