এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। কারণ, চূড়ান্ত চুক্তি ও আলোচনা ছাড়াই জেলেনস্কি হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেছিলেন। মূলত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে তর্ক শুরু হয়, যার পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জেলেনস্কি। এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এখনো সম্ভব।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়াশিংটনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।"
ওভাল অফিসে এই ঘটনাটির পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা জেলেনস্কির সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একটি পোস্টে জানান, রাশিয়া হচ্ছে আগ্রাসনকারী দেশ, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "যারা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতা, শিশুদের নিরাপত্তা এবং ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করছে।"
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডর লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তনিও কস্তা এক যৌথ পোস্টে ইউক্রেনীয় জনগণের সাহসিকতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন।