এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি কমে যাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজে থেকেই ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের পরিকল্পনায় একটি স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, ইউরোপের দুই দেশ, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া, ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে স্পষ্টভাবে দ্বিধাবোধ প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, তারা এই পরিকল্পনায় আর্থিক সহায়তা দিতে সক্ষম নয়। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ প্রতিষ্ঠার নীতি বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।
এই অবস্থার মাঝে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে লিখিত একটি চিঠিতে দাবি করেন, সম্মেলনে এমন কোনও নথিতে ইউক্রেনের নাম না লেখা উচিত। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় সংঘের অভ্যন্তরে এক নতুন রকম বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যা সামগ্রিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করবে।
সুইডেনও প্রথম দিকে দ্বিধাবদ্ধতা প্রকাশ করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে সুইডিশ ডিফেন্স রিসার্চ এজেন্সির গবেষক ক্যালে হ্যাকানসন জানান, সুইডেনের মনোভাবেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা কাটিয়ে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন এখন উরসুলার পরিকল্পনা সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও জার্মানিও প্রাথমিক দ্বিধা কাটিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, ইউক্রেনকে সাহায্যের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে মতভেদ ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এদিকে, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার আপত্তি ইউরোপীয় সংঘের সামগ্রিক সহায়তা নীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে নিয়ে এসেছে।