এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৭ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
ইরান সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। নতুন নতুন অস্ত্রের প্রদর্শনী ও ব্যাপক সামরিক মহড়ার মাধ্যমে তারা ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। গত তিন মাস ধরে ইরানের সেনাবাহিনী ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দেশব্যাপী মহড়া চালিয়ে বিভিন্ন আধুনিক প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
মার্কিন ও ইসরায়েলি হুমকির বিপরীতে ইরানের প্রস্তুতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কর্তৃক সম্ভাব্য হামলার হুমকির মুখে ইরান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে। পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো ও সামরিক ঘাঁটিগুলো রক্ষার জন্য আধুনিক অস্ত্র ও কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, ইসরায়েল যদি আগ্রাসন চালায়, তবে তারা পাল্টা প্রতিরোধে সক্ষম। এ লক্ষ্যে একতেদার, জিলফিকার এবং গ্রেট প্রোফেটের মতো বড় সামরিক মহড়া পরিচালিত হয়েছে। ওমান সাগর থেকে ভারতীয় মহাসাগরের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত এই মহড়ার পরিধি বিস্তৃত ছিল।
গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন
আইআরজিসি সম্প্রতি মাটির নিচে নির্মিত তিনটি সামরিক ঘাঁটির অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এগুলোকে ‘মিসাইল মেগাসিটি’ বলে উল্লেখ করা হয়, যেখানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মোবাইল লঞ্চারের উপস্থিতি দেখা গেছে।
নতুন প্রযুক্তির সংযোজন
ইরান নতুন ক্রুজ মিসাইল ‘কাদের ৩৮০’ প্রদর্শন করেছে, যা ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়া, সুপারসনিক জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও উন্মোচনের প্রস্তুতি চলছে।
যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণ
সামরিক মহড়ায় ইরান তাদের নিজস্ব যুদ্ধবিমান সাঈখ ও আজারাখশ ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি, রাশিয়ার তৈরি ইয়াক-১৩০ ও মিগ-২৯ এর মাধ্যমে শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল পরীক্ষা করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক শক্তির এই উত্থান বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ভবিষ্যৎ সংঘাতের ইঙ্গিত বহন করছে।