এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ফের নিলামে তুলেছে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিলাসবহুল ৩০টি গাড়ি। তবে আগের মতো এবারও ক্রেতার দেখা মেলেনি! দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থাকা এই গাড়িগুলো নিলামের মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও আইনি জটিলতা এবং উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নিলামে ৯টি বিলাসবহুল গাড়ির জন্য কোনো বিডারই এগিয়ে আসেননি। বাকি ১৫টি গাড়ির জন্য দরপত্র জমা পড়লেও তা ন্যূনতম মূল্যের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি। ফলে নিলামের মাধ্যমে গাড়িগুলোর নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
এর আগেও ২০টি সাধারণ গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু ১৯টির মালিকরা আদালতে রিট করায় শেষ মুহূর্তে সেই গাড়িগুলোর ডেলিভারি স্থগিত হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এসব গাড়ি বন্দর ইয়ার্ডের জায়গা দখল করে রাখছে, যা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও আইনি জটিলতার কারণে সমাধান হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ হওয়ায় নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী নয় ক্রেতারা। বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম নির্ধারণ করা হয়, ফলে নিলামে ৬০% দর উঠলেও তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়।
বর্তমানে বন্দরে ২০০২ সাল থেকে পড়ে থাকা প্রায় ১৯৫টি বিলাসবহুল ও সাধারণ গাড়ি নিলামে তোলা সম্ভব হয়নি। কাস্টমস ও এনবিআর দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করলে ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।