এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের মুখে পড়েছে থাইল্যান্ড। দেশটি অন্তত ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠানোর কারণে থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, "গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমি এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।"
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীনে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। তাই যেসব দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন এসব শরণার্থীদের চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "চীন তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর জন্য। আমরা এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
থাইল্যান্ড মার্কিন মিত্র হওয়া সত্ত্বেও, এমন নিষেধাজ্ঞার ঘটনা নজিরবিহীন। থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন কর্মকর্তা পড়েছেন, তা প্রকাশ করেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, এই উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর সময় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থাইল্যান্ডকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকক চীনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি এড়াতে সেটি গ্রহণ করেনি।
থাই কর্মকর্তারা এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।