এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
মার্কিন বাকস্বাধীনতার নতুন সংজ্ঞা: শিক্ষার্থী বহিষ্কার থেকে মিডিয়া বন্ধ পর্যন্ত!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার নামে চলছে নতুন ধরনের দমননীতি! ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি বাতিল থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
সম্প্রতি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে যে, যারা ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে, তাদের ডিগ্রি বাতিল করা হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসেইনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ মন্তব্য করেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাকস্বাধীনতার নামে যা করছে, তা আসলে নিপীড়নেরই নতুন রূপ!"
অন্যদিকে, রাজনৈতিক কর্মী হাসান আবেদিনী অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলি আগ্রাসনকে রক্ষা করতে আল-আকসা নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, "এটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।"
এদিকে, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ জর্জ গ্যালোওয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন কার্যকর হচ্ছে না। তিনি বলেন, "যখন ফিলিপাইনের সাবেক নেতা দুতার্তেকে হেগের আদালতে নেওয়া হয়, তখন নেতানিয়াহু কীভাবে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন?"
গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে অধ্যাপক সাইয়্যেদ মোহাম্মদ মারান্ডি লিখেছেন, "চার বছর বয়সী হায়া সুবেহ ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু ইসরাইলি অবরোধের কারণে তার চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ!"
ব্রিটিশ নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, ইসরাইল টানা ১২ দিন গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি। তিনি বলেন, "এটি সম্পূর্ণ জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে!"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে, যা তাদের তথাকথিত ‘বাকস্বাধীনতা’র প্রকৃত রূপ উন্মোচন করছে।