এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে তীব্র তহবিল সংকটের কারণে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) ১০ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। এপ্রিল থেকেই অধিকাংশ খাদ্য রেশন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, যা দেশটিকে আরও গভীর মানবিক সংকটে ঠেলে দেবে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সহায়তা অব্যাহত রাখতে ৬০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অর্থ না পেলে লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার কষ্টে দিন কাটাবে। বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় এক লাখ মানুষ ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান দাতা যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচিতে বড় ধরনের কাটছাঁট করেছে, যা মিয়ানমারের এই সংকটে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, তারা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে এই মানবিক বিপর্যয় কিছুটা হলেও কমানো যায়।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে সহিংসতা বেড়েছে। দেশটির প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ এখন ন্যূনতম খাদ্যের জোগান পাচ্ছে না, আর ২.৩ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী ও প্রতিবন্ধীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ডানফোর্ড জানান, "এই সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে, যা আমাদের পক্ষে কল্পনাও করা কঠিন।" তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের এই সংকট কেবল দেশটির অভ্যন্তরেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোকেও প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও আরও বড় সংকটের মুখে পড়বে। এই সংকট মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।