এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
বিশ্বের উৎপাদন শিল্পে চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, যেখানে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ মানুষের অনুপস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে ‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’। এই ধরনের কারখানা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি করছে, যা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত, নির্ভুল এবং অধিক দক্ষ।
ডার্ক ফ্যাক্টরি কী?
‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ হল এমন একটি কারখানা যেখানে কোনো মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই সব কাজ সম্পন্ন হয়। রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি দ্বারা পরিচালিত হয় সম্পূর্ণ কার্যক্রম। এই ধরনের কারখানায় আলো প্রয়োজন হয় না, ফলে বিদ্যুৎ খরচও অনেক কম থাকে।
ডার্ক ফ্যাক্টরির মূল বৈশিষ্ট্য
১. স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা: সমস্ত প্রক্রিয়া, কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত, রোবট ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চলে, ফলে দ্রুত এবং নিখুঁত উৎপাদন হয়।
২. বুদ্ধিমান মেশিন নেটওয়ার্ক: IoT এবং AI ব্যবহার করে কারখানার যন্ত্রগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, এবং প্রয়োজনমত মেরামত বা পরিবর্তন করে।
৩. AI-চালিত গুণমান নিয়ন্ত্রণ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রতিটি পণ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যাতে ত্রুটি কম হয় এবং অপচয় রোধ হয়।
৪. পরিবেশবান্ধব উৎপাদন: শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়।
শিল্প খাতে নতুন দিগন্ত
বিশ্বের বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠান এখন স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে স্মার্টফোন, গাড়ি, ওষুধসহ নানা পণ্যের উৎপাদনে এগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করলেও, এটি এখন অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিশ্বব্যাপী নতুন প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে।
কর্মসংস্থান এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব
যদিও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি মানবশ্রম কমিয়ে দিচ্ছে, তবে এটি নতুন দক্ষতা, যেমন রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে চাকরির সুযোগ তৈরি করছে। শ্রমিকদেরকে নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।