এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
বিশ্বের রাজনীতির উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে, জাপান তার দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এটি বিশেষত উত্তর কোরিয়া ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তু আঘাত হানতে সক্ষম হবে। এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা প্রায় এক হাজার কিলোমিটার, এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে মোতায়েনের কথা রয়েছে।
সরকারি সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, জাপান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওকিনাওয়া দ্বীপ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছে, এবং এটি জাপানের ‘পাল্টা আক্রমণ ক্ষমতা’ বৃদ্ধি করার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীন ও উত্তর কোরিয়ার আক্রমণের সম্ভাবনা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায়, এই পদক্ষেপ একটি প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফুকুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ইয়োইচি শিমাদা বলেন, “বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, এবং জাপানকে আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়তে হবে।” জাপান নিজেকে আরও সুরক্ষিত রাখতে দ্রুত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মতো পদক্ষেপ নেবেই, এমন আশঙ্কা তার।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা জাপানকে রক্ষা করবো, তবে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে,"—এই মন্তব্যের পর জাপানে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। টোকিওর টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডুজারিকও মন্তব্য করেছেন, "মার্কিন-জাপান সম্পর্ক এখন সংকটে, এবং চীন যদি জাপান আক্রমণ করে, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।"
এই পরিস্থিতি জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল এবং তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নতুনভাবে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।