এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম সহিংসতার এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে, যা বড় ধরনের উত্তেজনা এবং অশান্তির সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনা জানাচ্ছে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে নাগপুরের কয়েকটি এলাকায় সহিংসতা শুরু হয়, যার ফলে পুলিশ কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
বিবিসির খবরে প্রকাশ, সোমবার দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্যরা নাগপুরের মহাল এলাকায় এক বিক্ষোভের আয়োজন করে, যেখানে তারা আওরঙ্গজেবের একটি ছবি পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পরে এক গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, বিক্ষোভের সময় কোরআন পুড়ানো হয়েছে, যা মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করে। এর ফলস্বরূপ, উত্তেজনা বেড়ে গিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনার কারণ ছিল কিছু ভুল তথ্য এবং গুজব, যা সহিংসতা উস্কে দেয়। নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অর্চিত চন্দক সংবাদ মাধ্যমে জানান যে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, এবং সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, এই সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন বেসামরিক নাগরিক এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর, পাথর ছোঁড়া এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, সহিংসতার কারণ এখনও খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি, তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত হয়েছে। পুলিশ ৪৭ জনকে আটক করেছে এবং কারফিউ জারি করা হয়েছে। যদিও শহরের অন্যান্য এলাকায় জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, পুলিশ জনগণকে গুজব থেকে বিরত থাকার এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।