ঢাকা, বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Logo
logo

ইসরাইলে তৃতীয় দফা হামলা: বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৩ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম

ইসরাইলে তৃতীয় দফা হামলা: বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত

 

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে একের পর এক পাল্টা আঘাত হানছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। সর্বশেষ, তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে তৃতীয় দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা।

শনিবার (২২ মার্চ) ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, "নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং প্রতিরোধকে সমর্থন জানাতে আমরা বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ‘ফিলিস্তিন ২’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছি। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি আমাদের তৃতীয় সফল হামলা।"

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, বেন গুরিওন বিমানবন্দর এখন আর নিরাপদ নয়। যে কোনো সময় আরও হামলা হতে পারে।
ইসরাইলি ভূখণ্ডে আতঙ্ক, বিমানবন্দর বন্ধ

ইসরাইলের বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও অধিকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সংকেত বেজে ওঠে। আতঙ্কে হাজারো ইসরাইলি বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। তেল আবিবের মূল বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শুরু করেছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির হোম ফ্রন্ট কমান্ড।
মার্কিন রণতরীতে আবারও ইয়েমেনি হামলা

শুধু ইসরাইল নয়, আমেরিকান স্বার্থেও টার্গেট করছে ইয়েমেনি সেনারা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারি জানিয়েছেন, ইয়েমেনি ড্রোন ইউনিট পরপর ছয় দিন ধরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান’-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে।
মার্কিন জেনারেলের স্বীকারোক্তি: "ইয়েমেনিরা নিজেদের রক্ষা করতে জানে"

ইয়েমেনের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারাও এখন সরব। মার্কিন চার তারকা জেনারেল জোসেফ ফুথিল বলেছেন, "শুধু ইয়েমেনিদের অস্ত্র ধ্বংস করলেই হবে না, কারণ তারা নিজেদের রক্ষায় অত্যন্ত দক্ষ।"

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ইয়েমেনিরা অসাধারণ সামরিক কৌশল শিখেছে এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তাও তারা রপ্ত করেছে।
মার্কিন-ব্রিটিশ হামলা ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করেছে। পশ্চিম সাদা প্রদেশ ও হোদেইদাহ শহরে চালানো হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ইয়েমেনি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের প্রতিরোধ চলবে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের সমর্থন অটুট থাকবে।