এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৪ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যে ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি দুই দেশের অর্থনীতিকেই ধসিয়ে দিতে পারে। বর্তমানে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ, যেখান থেকে গত বছর ৪৩৮.৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনে রপ্তানি করেছে ১৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
ট্যারিফের সম্ভাব্য প্রভাব:
মার্কিন ভোক্তাদের জন্য দুঃসংবাদ:
চীনা পণ্যের দাম বেড়ে যাবে
ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, খেলনা থেকে শুরু করে গৃহস্থালি পণ্য সবই হবে দামি
মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বাড়তে পারে
চীনা শিল্পের জন্য ঝুঁকি:
রপ্তানি কমে যাবে
শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে
বেকারত্ব বাড়ার সম্ভাবনা
বিশ্ব বাণিজ্যে ধস:
সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটবে
বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা
অন্যান্য দেশও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে
রাজনৈতিক অস্থিরতা:
ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির তীব্র সমালোচনা করছে। হাউস মাইনরিটি লিডার হাকিম জেফ্রিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, "ট্রাম্প এবং হাউস রিপাবলিকানরা অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং আমাদের মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।" তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, "আমেরিকার সেই স্বর্ণযুগের কী হলো?"
বিশ্লেষকদের মতামত:
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে:
মার্কিন ভোক্তাদের পকেটে সরাসরি আঘাত লাগবে
চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে
সম্ভাব্য সমাধান:
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এই সংকটের সমাধান সম্ভব। তবে ট্রাম্পের অনমনীয় অবস্থান এবং চীনের সম্ভাব্য পাল্টা ব্যবস্থা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
সাধারণ মানুষের কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন:
দাম বাড়ার আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখুন
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন
অর্থ সঞ্চয়ে গুরুত্ব দিন
বাজারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন
মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের জন্যই হুমকিস্বরূপ। এই সংকটের সমাধান না হলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।