ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৫ | ৩ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

মার্কিন শুল্ক মুলতবির জন্য ৩ মাস সময় চাইল বাংলাদেশ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০৪ এএম

মার্কিন শুল্ক মুলতবির জন্য ৩ মাস সময় চাইল বাংলাদেশ

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্ক নীতির মুখে! সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের উপর ৩৭% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন—"কমপক্ষে ৩ মাস সময় দিন, বাংলাদেশ আপনার বাণিজ্য এজেন্ডাকে পুরোপুরি সমর্থন করবে!"

অস্থায়ী নেতৃত্বে থাকা ড. ইউনূস ট্রাম্পকে লিখিত বার্তায় বলেন, "এই শুল্ক স্থগিত রাখলে বাংলাদেশ মার্কিন পণ্য আমদানি বাড়ানোর সুযোগ পাবে।" বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য হঠাৎ এত বড় শুল্ক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত লাখো শ্রমিকের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে—এটিও তাঁর চিন্তার কারণ।

ইউনূসের কথায়, "আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাই, কিন্তু আমাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সময় প্রয়োজন।" তাঁর এই আবেদন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়েছে।

বিলিওনিয়ারদের হুঁশিয়ারি: 'অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ আসছে!'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগকারীরাও ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে ভুল বলে কটাক্ষ করছেন। হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, যিনি একসময় ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন, এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—"এই শুল্ক বাস্তবায়িত হলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক নিউক্লিয়ার শীত নেমে আসবে!"

অ্যাকম্যান তাঁর এক্স (টুইটার) পোস্টে লিখেছেন, "বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের উপর আস্থা হারাচ্ছে। এই শুল্ক বিশ্ব বাণিজ্যে ধস নামাবে এবং মার্কিন অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।"

ওমেগা অ্যাডভাইজরসের চেয়ারম্যান লিওন কুপারম্যানও একই সুরে বলেছেন, "শুল্ক বাড়ানো একটি বড় ভুল। এতে মার্কিনীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে, কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে।"

বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

যদি ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক কার্যকর করে, তাহলে বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। ইইউ, চীন ও জাপানের মতো দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য চুক্তি জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। এছাড়া, পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স, লেদার গুডস ও কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হবে।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো চাপে পড়লেও, বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে। ইউনূসের আবেদন কি কাজে লাগবে? নাকি বিশ্বজুড়ে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের দামামা বাজবে? সময়ই বলবে!

#বাংলাদেশ #মার্কিনশুল্ক #মুহাম্মদইউনূস #ট্রাম্প #বাণিজ্যযুদ্ধ