এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
চীন আর আমেরিকার মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে এবার লাভবান হতে পারে ভারত! চীনা এয়ারলাইন্সগুলো বোয়িংয়ের বিমান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে সেগুলো এখন নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া। খবরটি নিশ্চিত করেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার কাছাকাছি সূত্রগুলো, যারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে চীন সরকার আমেরিকান পণ্যের উপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করায় চীনা এয়ারলাইন্সগুলোকে বোয়িংয়ের বিমান নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এর ফলে বোয়িংয়ের হাতে বেশ কিছু বিমান ফেলে রাখা হয়েছে, যেগুলো মূলত চীনা এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এখন এয়ার ইন্ডিয়া সেই বিমানগুলো নেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া চীনা এয়ারলাইন্সের জন্য তৈরি ৪১টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান গ্রহণ করেছে, যা ২০১৯ সালে গ্রাউন্ডিংয়ের পর চীনা কোম্পানিগুলো নিতে পারেনি।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের জন্য আরও বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ন্যারো-বডি বিমান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে এয়ার ইন্ডিয়া। এছাড়া, ভবিষ্যতে ডেলিভারির স্লট পেলেও সেগুলো নিতে আগ্রহী তারা। তবে চীনা এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য কাস্টমাইজড কেবিন কনফিগারেশন থাকায় নতুন ক্রেতাদের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি হতে পারে।
বোয়িংয়ের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ চীন বিশ্বের বৃহত্তম বিমান বাজারের একটি। গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন-চীন উত্তেজনার কারণে এয়ারবাস ইতিমধ্যেই চীনে বোয়িংকে পিছনে ফেলেছে। তবে এয়ার ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়া এভিয়েশন গ্রুপের মতো এয়ারলাইন্সগুলো বোয়িংয়ের জন্য স্বস্তি বয়ে আনতে পারে।
এয়ার ইন্ডিয়ার লক্ষ্য ইন্ডিগোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা। তবে বিমান সংকট এবং আপগ্রেডের বিলম্বের কারণে তারা কিছুটা পিছিয়ে আছে। সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন গত মাসে বলেছেন, তারা এখন সস্তা ভাড়ার মাধ্যমে যাত্রীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।
এই সুযোগটি এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য একটি বড় অর্জন হতে পারে। যদি তারা বোয়িংয়ের এই অতিরিক্ত বিমানগুলো পেতে পারে, তাহলে ইন্ডিগোর সাথে প্রতিযোগিতায় তারা শক্ত অবস্থান নিতে পারবে। খবর এনডিভির
#এয়ার_ইন্ডিয়া #বোয়িং #চীন_আমেরিকা_বাণিজ্য_যুদ্ধ #টাটা_গ্রুপ #এভিয়েশন_ইন্ডাস্ট্রি