এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১০ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম

ইসরাইল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ইরান চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক HQ-9 বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (SAM) সংগ্রহ করেছে বলে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে। গত জুনে ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইরান তার বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছে বলে আরব গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অস্ত্র হস্তান্তর ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতির পরপরই সম্পন্ন হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরব কর্মকর্তা জানান, মার্কিন মিত্ররা এই বিক্রয় সম্পর্কে সচেতন এবং বিষয়টি হোয়াইট হাউসকেও জানানো হয়েছে।
এই অস্ত্র চুক্তি ইরান-চীন কৌশলগত সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও ইসরাইল-ইরান সংঘাতের সময় চীন ও রাশিয়া নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিল, তবুও এই অস্ত্র সরবরাহ পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাস:
১৯৮০-এর দশকে ইরান চীনা HY-2 সিল্কওয়ার্ম ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছিল
২০১০ সালে HQ-9 বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা সংগ্রহ করে
বর্তমানে রাশিয়ান S-300 এবং দেশীয় তৈরি খোর্দাদ ও বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থা ব্যবহার করছে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা HQ-9 ব্যবস্থা ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও এটি ইসরাইলের অত্যাধুনিক F-35 স্টেলথ যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, ইরানের ৯০% অপরিশোধিত তেল রপ্তানি চীনকে যায় বলে মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা ইআইএ জানিয়েছে। তেল নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান মালয়েশিয়ার মতো ট্রান্সশিপমেন্ট হাব ব্যবহার করে থাকে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে হোয়াইট হাউস এখনও এই অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অস্ত্র চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।