ঢাকা, সোমবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
Logo
logo

৭ নতুন দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ: রপ্তানি হচ্ছে ৫০টিরও বেশি দেশে


এনবিএস ডিজিটাল ডেস্ক     প্রকাশিত:  ১২ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

৭ নতুন দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ: রপ্তানি হচ্ছে ৫০টিরও বেশি দেশে

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক বিশাল টেক জায়ান্ট। তাদের লক্ষ্য একটাই, বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা। এই লক্ষ্য পূরণে তারা দারুণ সফল হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা নতুন নতুন দেশে নিজেদের ব্র্যান্ডের ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে তাদের ব্র্যান্ডের পণ্য এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ওয়ালটন নতুন ৭টি দেশে নিজেদের ব্র্যান্ড ব্যবসা শুরু করেছে। এটি তাদের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের পথে এক দারুণ সাফল্য। এই নতুন দেশগুলো হলো - উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোস, ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু। এছাড়াও তালিকায় আছে আফ্রিকার ক্যামেরুন ও ক্যাপভার্ড, এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আব্দুর রউফ বলেছেন যে, তাদের পণ্যগুলো অন্যদের থেকে বেশ এগিয়ে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, টেকসই গুণগত মান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ডিজাইন এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটন সহজেই ক্রেতাদের মন জয় করে নিতে পারছে। তিনি আরও জানান, এই কারণেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ালটন ব্র্যান্ড সবার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

আব্দুর রউফ আরও বলেছেন, ওয়ালটন এই দশকের শুরু থেকেই বিশ্বের সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য কাজ করছে। এজন্য তারা ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতেও নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে। এই লক্ষ্যে তারা একটি দক্ষ ও শক্তিশালী গ্লোবাল বিজনেস টিম তৈরি করেছে, যারা সবসময় নতুন বাজার খুঁজে বের করতে কাজ করছে।

শুধু তাই নয়, ওয়ালটন কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি এবং শাখা অফিসও খুলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় তারা একটি গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। এই সেন্টারে পণ্যের গুণগত মান, ডিজাইন এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ওপর গবেষণা করা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের চাহিদা এবং সেখানকার আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এখানে বিশেষ পণ্য তৈরি করা হচ্ছে।

এই গবেষণার কারণেই ওয়ালটন একের পর এক নতুন দেশে তাদের বাজার সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবনী চিন্তা ওয়ালটনকে বিশ্বব্যাপী দ্রুত পরিচিতি এনে দিয়েছে। এটি কেবল একটি ব্যবসা নয়, বরং বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ডের বিশ্ব জয়ের গল্প।

ওয়ালটন মূলত ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কম্প্রেসর এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য তৈরি করে। তাদের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। দেশের বাজারেও ওয়ালটন পণ্য ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। যার কারণে শেয়ারবাজারেও ওয়ালটন একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।