এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

“বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরে পেতে চায়। রাষ্ট্রের আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণই আগামী দিনে কারা ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করবে। এখন কোন দল কী বলেছে, তা মূল বিষয় নয়।”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
নিপুণ রায় আরও জানান, সঠিক সময়ে সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন না হওয়ায় ফ্যাসিবাদ তার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে জনগণের বিরুদ্ধে। জনগণের ১৭ বছরের জমা ক্ষোভ, ঘৃণা এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপের ফলস্বরূপ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এতে ছাত্র জনতা, সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন,
“এক দফার মূল দাবি ছিল শেখ হাসিনার পতন। সেই আন্দোলনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা একটি স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের অধিকার পুনঃস্থাপন, ফ্যাসিবাদ ও শোষণ থেকে মুক্তি। এখানে কোনো একক ব্যক্তি বা দল নয়, পুরো জনগণ যুক্ত। লক্ষ্য একটাই—গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা।”
নিপুণ রায় আরও যোগ করেন,
“অধিকারপূর্ণ গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হলো নির্বাচন। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মালিকানা ফিরে পেতে। এখন জনগণ এবং সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ‘ট্রেন’ ধরেছে। যারা ফেসব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না বলছে, তাদের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারবে না। দীর্ঘ ১৭ বছরে বিএনপি সহ সব গণতান্ত্রিক দল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। কোনো ষড়যন্ত্র গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতান্ত্রিক জনতা ও দল তা প্রতিরোধ করবে।”