এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

ব্রাজিল ফুটবল মানেই রোমাঞ্চ, ইতিহাস আর গৌরব। নাম শুনলেই ভেসে ওঠে পেলে, রোমারিও, রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকা কিংবা নেইমারের মতো কিংবদন্তিদের জাদুকরী ছোঁয়া। তাদের পায়ের নাচনে মুগ্ধ হয়নি, এমন ফুটবলপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কঠিন।
তবে সময়ের সঙ্গে সেই ঝলমলে সাম্বা ফুটবলের রঙটা যেন একটু ম্লান। শেষবার ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে কাপ হাতে তুলেছিল ব্রাজিল। তারপর কেটে গেছে ২৩ বছর — কিন্তু আর কোনোবারও ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই দীর্ঘ খরা ভাঙার দায়িত্ব এবার দেওয়া হয়েছে ইতালিয়ান কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির হাতে। ইতিহাসে প্রথমবার ব্রাজিল ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোনো বিদেশি কোচ। তবে শুরুটা খুব আশাব্যঞ্জক নয় — তার অধীনে এখন পর্যন্ত তিন জয়, এক ড্র এবং দুই পরাজয়। সর্বশেষ জাপানের বিপক্ষে ৩-০ গোলের লজ্জাজনক হারে হতাশ হয়েছেন সমর্থকরা।
তবু শান্ত আনচেলত্তি। প্রীতি ম্যাচের ফল নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। তার একটাই লক্ষ্য — ২০২৬ বিশ্বকাপে ট্রফি জয়।
আনচেলত্তি বলেন, “আমি জানি, ব্রাজিল মানেই জয়। এখানে হার মানা যায় না। আমি ভক্তদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি — বিশ্বকাপের আগে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হবো। আমরা ট্রফি জেতার জন্যই মাঠে নামব। এটিই এখন আমার একমাত্র স্বপ্ন।”
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সফল ক্লাব কোচ আনচেলত্তি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এখন ব্রাজিলের দায়িত্বে। তার মতে, এটি জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ।
তিনি বলেন, “সিবিএফ আমাকে যে বিশ্বাস দিয়েছে, সেটা অবিশ্বাস্য। ব্রাজিলের মতো দলকে কোচিং করা যেকোনো কোচের স্বপ্ন। এখন আমার লক্ষ্য সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দেওয়া — আমি ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিতে চাই।”
আগামী বিশ্বকাপে থাকছে নতুন চমক। এবারই প্রথম ৪৮ দল অংশ নেবে টুর্নামেন্টে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো একসঙ্গে আয়োজন করবে এবারের আসর। যদিও অনেকেই এই সম্প্রসারণের সমালোচনা করছেন, আনচেলত্তি কিন্তু দেখছেন ইতিবাচক দিক।
তার ভাষায়, “বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় উৎসব। যত বেশি দেশ খেলবে, তত প্রতিযোগিতা বাড়বে, আগ্রহও ছড়াবে নতুন প্রজন্মের মাঝে। ফুটবল যত ছড়াবে, ততই ভালো লাগবে।”
এখন আন্তর্জাতিক বিরতি চলছে। তবে আনচেলত্তি বসে নেই। আগামী বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো পরিদর্শন ও প্রস্তুতি পরিকল্পনা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিজ্ঞ কোচ।