ঢাকা, শনিবার, অক্টোবর ২৫, ২০২৫ | ৯ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

ট্রাম্পের জন্য হোয়াইট হাউসের অংশ ভাঙা শুরু! নতুন বিলাসবহুল বলরুমে কী থাকছে জানুন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

ট্রাম্পের জন্য হোয়াইট হাউসের অংশ ভাঙা শুরু! নতুন বিলাসবহুল বলরুমে কী থাকছে জানুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নতুন বলরুম নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সোমবার কর্মীরা বিশাল একটি ঢেকে রাখা প্রবেশপথ ও জানালার অংশ সরিয়ে ফেলেন, যা ট্রাম্পের ভাষায় “সম্পূর্ণ আধুনিকীকরণ”-এর অংশ। খবর বিবিসির।

 ২৫০ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত হচ্ছে নতুন বলরুম

এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২৫০ মিলিয়ন ডলার (২৫০ কোটি টাকা) ব্যয়ে হোয়াইট হাউসে একটি নতুন বলরুম সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, এটি মূল ভবনের “একেবারে কাছাকাছি থাকবে, কিন্তু স্পর্শ করবে না”, যেন ঐতিহাসিক ভবনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে।

“আমি হোয়াইট হাউসের সবচেয়ে বড় ভক্ত। এটি আমার প্রিয় জায়গা,” বলেছিলেন ট্রাম্প।

১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা চেয়েছেন এমন একটি বলরুম, যেখানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বা জমকালো পার্টি আয়োজন করা সম্ভব হবে। অবশেষে ট্রাম্পই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।

🇺🇸 কারা দিচ্ছেন অর্থায়ন, তা এখনো অজানা

ট্রাম্প দাবি করেছেন, প্রকল্পটিতে “দেশপ্রেমিক কিছু উদার মানুষ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দিচ্ছেন।”
তবে হোয়াইট হাউস তাদের নাম প্রকাশ করেনি, ফলে দাতাদের পরিচয় এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।

 ১৯০২ সালের ভবন ভাঙছে, নতুন সাজে আসছে ইস্ট উইং

হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইং নির্মিত হয়েছিল ১৯০২ সালে, সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল ১৯৪২ সালে।
এখন দক্ষিণ দিক থেকে দেখা যাচ্ছে বড় বড় নির্মাণযন্ত্র, কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ ও ধাতব তার, যার কিছু মার্কিন পতাকায় মোড়ানো।
ইস্ট উইংয়ের প্রবেশপথের বেশিরভাগই এখন ঢাকা, আর কিছু অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা বিবিসির।

 প্রেসিডেন্টের হাতে পুরো নিয়ন্ত্রণ

যদিও হোয়াইট হাউস ও আশপাশের পার্কগুলো ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস (NPS) পরিচালনা করে, তবে সংস্কারের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের হাতে থাকে পূর্ণ ক্ষমতা।
NPS-এর সাবেক ইতিহাসবিদ রবার্ট কে সাটন বলেন,

“হোয়াইট হাউস সম্পর্কিত যেকোনো পরিবর্তনই সবসময় বিতর্ক তৈরি করে। উভয় উইংই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক।”

 স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ

সাটন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রকল্পে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যাচ্ছে—বিশেষ করে বলরুমের আকার, নকশা ও ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়টি নিয়ে।
তিনি জানতে চান, হোয়াইট হাউস কি ঐতিহাসিক ধারা বজায় রাখতে পরীক্ষিত নির্দেশিকা মেনে চলবে কি না।

“এটি পিপলস হাউস—আমেরিকার ইতিহাসের প্রতীক। তবুও আমরা জানি না কী ঘটছে,” মন্তব্য করেন সাটন।

 শত শত ঝাড়বাতি আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন বলরুমে থাকবে শত শত সোনালী ঝাড়বাতি এবং আধুনিক সজ্জা।
প্রকল্পটির প্রধান ঠিকাদার ক্লার্ক কনস্ট্রাকশন, ডিজাইন করেছে ম্যাকক্রি আর্কিটেক্টস।
সিক্রেট সার্ভিস যুক্ত থাকবে “অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থায়।”

সাটন বলেন, “এই ধরনের প্রকল্পে সাধারণত দীর্ঘ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া থাকে, যাতে ভবনের ঐতিহাসিক সৌন্দর্য ও প্রতীকী চেহারা অক্ষুণ্ন থাকে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে তাড়াহুড়া করা হচ্ছে, আর এতে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রুচির প্রভাব বেশি।”