ঢাকা, শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫ | ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
Logo
logo

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন মেহেরপুরের গৃহিণী


এনবিএস ওয়েবডেস্ক     প্রকাশিত:  ০৬ জুলাই, ২০২২, ০৭:১১ পিএম

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন মেহেরপুরের গৃহিণী
ঈদ অফারে মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করছেন সাগরিকা খাতুন

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৫। এর আওতায় ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কেনায় নিশ্চিত ক্যাশব্যাক ও ফ্রি পণ্যসহ ক্রেতাদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। 

এরই অংশ হিসেবে মার্সেল ফ্রিজ কিনে এবার ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গৃহিণী মোছাম্মত সাগরিকা খাতুন। ঈদের আগে ফ্রিজ কিনে বিশাল অংকের টাকা পেয়ে মহাখুশি তার পরিবার।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। ক্যাম্পেইনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের পাশাপাশি পণ্য কেনায় লক্ষ লক্ষ টাকার ফ্রি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্রেতাসুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। 

শুক্রবার (১ জুলাই, ২০২২) উপজেলার বামন্দী বাজারে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘তাজ ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহিনী সাগরিকার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল আওয়াল, তাজ ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী জিয়াদুল ইসলাম লিজন, মার্সেলের রেজিওনাল সেলস ম্যানেজার (কুষ্টিয়া) এ এন এম মহিব্বুল্লাহ প্রমুখ।

গৃহিনী সাগরিকার বসবাস উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের সাহেবনগরে। স্বামী মারা গেছেন। ১ ছেলে এবং ১ মেয়ের মা তিনি। শুনেছেন মার্সেলের ফ্রিজ দেখতে সুন্দর এবং টেকসই। দাম কম, আবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। সৌদি প্রবাসি ছেলের পাঠানো টাকায় তাই বাসায় ব্যবহারের জন্য ফ্রিজটি কিনেছিলেন সাগরিকা। 

১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণকালে সাগরিকা বলেন, ‘বাসায় বহু দিন ধরে ফ্রিজ দরকার ছিল। কোনো পণ্য কিনে এই প্রথম পুরস্কার পেলাম। একটি ফ্রিজ কিনে এতো টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায় কল্পনাই করিনি। মার্সেল আরও জনপ্রিয় হোক এটিই প্রত্যাশা।’

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশের সহজ সরল মানুষ বিদেশি পণ্য ভেবে নন ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট কিনে প্রতারিত হন। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, আবার দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়। দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই সবার উচিত দেশের পণ্য কেনা। এতে সমৃদ্ধশালী হবে দেশ ও আমাদের অর্থনীতি।’

ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ক্রেতাদের আস্থায় দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মার্সেল। এর মাধ্যমে উপকার হচ্ছে সাধারণ মানুষেরই। আমাদেরই ভাই, বোন, সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজন মার্সেলে কাজ করছেন। এভাবেই দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান হচ্ছে।’ 

আরিফুল আম্বিয়া বলেন, ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে ক্রেতা জাগরণ তৈরি করেছে মার্সেল। সারাবছরই ক্রেতাদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। মার্সেল যে ক্রেতাদের পাশে রয়েছে এবং তাদের পাওনা যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেয় আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ।’

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, ‘এই অঞ্চলে মার্সেল পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয়। অনেক কোম্পানি ক্রেতাদের সুবিধা দেয়ার কথা দিয়ে প্রতারণা করে। কিন্তু সততার সঙ্গে ব্যবসা করছে বলেই মার্সেলকে মানুষ বিশ্বাস করে।’

ঈদ অফারে ক্রেতারা দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এর সাথে সাথে ক্রেতার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ কিংবা ফ্রি পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শোরুম যথাসময়ে ক্রেতাদের প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক কিংবা ফ্রি পণ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে।

এক্ষেত্রে মার্সেলের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পণ্যের ক্রেতার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের পাশাপাশি রয়েছে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মোবাইল ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার, ফ্যান, আয়রন, এলইডি বাল্ব, এক্সটেনশন সকেটসহ বিভিন্ন ধরণের লক্ষ লক্ষ টাকার ফ্রি পণ্য। 

ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। রাইজিংবিডি.কম থেকে নেয়া।