ঢাকা, রবিবার, নভেম্বর ২, ২০২৫ | ১৭ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

হামাসের কাছ থেকে ফেরত এলো আরও দুই জিম্মির লাশ! ইসরায়েল নিশ্চিত করল পরিচয়


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

হামাসের কাছ থেকে ফেরত এলো আরও দুই জিম্মির লাশ! ইসরায়েল নিশ্চিত করল পরিচয়

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের কাছে আরও দুই জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে কফিন দুটি হস্তান্তর করা হয়। লাশ পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

যাদের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ৮৪ বছর বয়সী আমিরাম কুপার এবং ২৫ বছর বয়সী সাহার বারুখ। খবরটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

কী হয়েছিল তাদের সাথে?
বৃদ্ধা আমিরাম কুপারকে গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরাইলের কিবুত্স নির ওজ থেকে তার নিজ বাড়ি থেকেই অপহরণ করেছিল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধারণা করছিল, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বন্দি অবস্থায় নিহত হয়েছেন। আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে জুন মাসে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, তরুণী সাহার বারুখকেও একই দিনে কিবুত্স বেয়েরি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। আইডিএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর মাসে একটি ব্যর্থ উদ্ধার অভিযানের সময় তিনি নিহত হন।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পোস্টমর্টেম পরীক্ষার পর।

জিম্মি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া
গত ১৩ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তার পরের দিনই হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০ জন জীবিত জিম্মিকে ফেরত দেয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের লাশ ফেরত দেওয়া শুরু করে তারা।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত জিম্মিদের লাশ তারা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল, যার অনেকগুলোই এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। সেগুলো উদ্ধার করতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ
এদিকে, এই শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যেই একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। চুক্তি ভেঙে তারা গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এসব হামলায় ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধুমাত্র এক রাতেই মারা গেছেন ১০৪ জন।