ঢাকা, সোমবার, নভেম্বর ৩, ২০২৫ | ১৯ কার্তিক ১৪৩২
Logo
logo

দীয়ায় ভারতীয় কৃষককে পিটিয়ে ‘বাংলাদেশি’ বানানোর অভিযোগ, বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

দীয়ায় ভারতীয় কৃষককে পিটিয়ে ‘বাংলাদেশি’ বানানোর অভিযোগ, বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলায় এক কৃষককে বেধড়ক মারধর করে ‘বাংলাদেশি’ বলে স্বীকার করানোর চেষ্টা চালিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কয়েকজন সদস্য—এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা ওই কৃষককে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায় এবং তাকে দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। ঘটনাটি ইতোমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে স্থানীয় চাপড়া থানায়।

চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ঘটনার দিন শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে নদীয়ার হাটখোলা গ্রামের এক চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় কৃষক রফিকুল মোল্লা। সেখানেই হঠাৎ করে কয়েকজন বিএসএফ সদস্য এসে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

রফিকুলের অভিযোগ, “চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ বিএসএফের কয়েকজন এসে আমায় ধরে নিয়ে যায়। তারপর অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসিয়ে রাখে। আমাকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করে বারবার চাপ দেয় যেন আমি বলি, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সেটা মানিনি। এরপর তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।”

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুল, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

মারধরে গুরুতর আহত রফিকুল মোল্লা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার শরীরে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঘটনার পরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযোগে বিএসএফের এক কোম্পানি কমান্ডার ও এক সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসএফের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই

এ ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ তদন্তে তারা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, “আমরা বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে, তবে তিনি বর্তমানে আসামে আছেন। তদন্ত চলছে।”

ঘটনার পর নদীয়ার সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটের আগে নাগরিক পরিচয় ঘিরে এমন আচরণ আরও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।