এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ পিএম

ভারতের কিংবদন্তি স্পিন অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ২০২৫ মহিলা বিশ্বকাপ জয় ১৯৮৩ ও ২০১১ পুরুষ বিশ্বকাপের থেকেও বড় অর্জন!
থ্রিলার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত
নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত তোলে ২৯৮/৭। শেফালি ভার্মা ঝড়ো ৭৮ বলে ৮৭ রান (৭ চার, ২ ছক্কা)।
দীপ্তি শর্মা দুর্দান্ত অর্ধশতক, স্মৃতি মান্ধানা ৪৫, রিচা ঘোষ ৩৪, জেমাইমা রদ্রিগেজ ২৪, হরমনপ্রীত ২০ – সবাই যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ রান।
২৯৯ রানের টার্গেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লরা ওলভার্টের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ২৪৬-এ অলআউট করে দীপ্তি শর্মা। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট! ভারত জিতে প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ।
এটা আরও বড় অর্জন – অশ্বিন
সবাই বলছেন, এটা মহিলা ক্রিকেটের ১৯৮৩ মুহূর্ত। কিন্তু অশ্বিন বলছেন, এটা তার চেয়েও বড়!
তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “হরমনপ্রীত ২০০৯ থেকে অনেক কিছু শুরু করেছেন। তবু টুর্নামেন্টে টানা তিন হারের পর তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন 
উঠেছে। আমি অবাক হয়েছি। এত পিছিয়ে থেকে ফিরে আসা…
২০১৭-১৮ সালে হায়দরাবাদ জিমখানায় আম্বাতি রায়ুডুর ম্যাচে স্টেডিয়াম ভর্তি। কিন্তু কেউ জানত না, পাশের মাঠে মিতালি রাজ অনুশীলন করছেন। আর আজ দেখুন কোথায় পৌঁছেছি!
আমি সত্যিই বলব, এটা আমাদের জেতা যেকোনো বিশ্বকাপের চেয়ে বড় অর্জন। কারণ এটা মেয়েদের খেলতে অনুপ্রাণিত করবে, ক্রিকেটকে ক্যারিয়ার হিসেবে ভাবতে শেখাবে।”
এটা সিনেমা হওয়ার মতো গল্প – অশ্বিন
অশ্বিন আরও বলেন, এই জয় ৮ পর্বের ডকুমেন্টারি হওয়া উচিত।
“এটা এত বড় অর্জন যে সিনেমা হতে পারে। কিন্তু গল্প বলার ধরন বদলাতে হবে। শুধু ১-২ জনের কারণে জেতেনি ভারত।
স্মৃতি, শেফালি, হরমনপ্রীতের কথা সবাই বলবে। কিন্তু আমি দেখতে চাই অমল মুজুমদারের গল্প, শ্রী চরণীর লড়াই। জুন পর্যন্ত তিনি প্ল্যানে ছিলেন না। এমন ছোট গল্পগুলো ৮ পর্বের ডকুমেন্টারিতে দেখাতে হবে। এটা সত্যিই বিশেষ গল্প।”