এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০৭ পিএম
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সমাজ পরিবর্তনে কবিতার প্রভাব অপরিসীম। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কবিদের লড়াই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। এর ফলে মানুষ নিজেকে আবিস্কার করার সুযোগ পাচ্ছে। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির মহাকাব্যের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ’ ধ্বনিত হয়েছিল বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কবিতা চর্চার প্রসারে সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহকে অগ্রণি ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী শুক্রবার রাতে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে কবিতা বিষয়ক সংগঠন স্বনন আয়োজিত কবি শ্যাম সুন্দর সিকদারের ‘কবিতার ধ্বনি স্রোতস্বিনী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বনন সভাপতি চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও স্বননের অন্যতম কর্ণধার রূপা চক্রবর্তী, কবি নাসির আহমেদ এবং কবি দিলারা হাফিজ বক্তৃতা করেন। কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্রোপাধ্যায়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মানুষের মননকে জাগিয়ে তুলতে কবিতার প্রভাব তুলে ধরে বলেন, বাংলা ভাষা, বাংলা হরফ এবং প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশের অবদান বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে স্বীকৃত। তারা বাংলাদেশকেই বাংলাভাষার রাজধানী মনে করে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে বাংলা সাহিত্যে কবিতার প্রভাব বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, কয়েক লাইন কবিতা যে ভাবে মানুষকে জাগাতে পারে প্রবন্ধ তা এতো সহজে পারে না। তিনি কবিদের নিয়ে স্বননের প্রচেষ্টাকে অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন। দেশব্যাপী কবিতার প্রসারে স্বনন ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী কবি শ্যাম সুন্দর সিকদারের কবিতায় অসাধারণ বহুমাত্রিকতা রয়েছে বলে তার পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমার একজন অতি প্রিয় মানুষ কবি শ্যাম সুন্দর সিকদারের কবিতা নিয়ে এই ধরণের উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। অনুষ্ঠানে কবি শ্যাম সুন্দর সিকদারের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন দেশ বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পীগণ।