ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা, সুপারি কিলার দিয়ে বাবাকে খুন করল ছেলে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৭ আগস্ট, ২০২২, ০৪:০৮ পিএম

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা, সুপারি কিলার দিয়ে বাবাকে খুন করল ছেলে

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা, সুপারি কিলার দিয়ে বাবাকে খুন করল ছেলে

 মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়ায় ব্যবসায়ী খুনের কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে ব্যবসায়ী বাবাকে খুন করেছে তার পালিত ছেলে। খুনের জন্য বন্ধুকে সুপারিও দিয়েছিল ওই যুবক। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হবে।

ঠিক কী হয়েছিল? শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বছর ষাটের ব্যবসায়ী তোহাব আলি হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ায় নিজের ফ্ল‌্যাটে ঢুকছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব‌্যবসায়ীকে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত‌ বলে জানান। ঘটনার পরই কাজিপাড়ায় ব‌্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ জানায়, মৃত ব‌্যবসায়ী কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করতেন।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, হয়তো ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদেই খুন হয়েছেন তোহাব আলি। তবে ব্যবসায়ীর পালিত ছেলে আকাশকে জেরা করে অন্য সন্দেহ দানা বাঁধে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে সে। জানায় সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে বাবাকে খুন করায় সে। বন্ধু সিকান্দারকে সুপারিও দিয়েছিল আকাশ। হাওড়া সিটি পুলিশের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, রাতেই পুলিশ আধিকারিকরা খুনের কিনারা করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যবসায়ীর দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের বিয়ের কোনও সন্তান ছিল না। সেই সময় আকাশকে ছেলে হিসাবে দত্তক নেন। পরে দ্বিতীয় পক্ষের বিয়ে করেন। তার অবশ্য একটি পুত্রসন্তান হয়। আর তাতে সম্পত্তিগত বিবাদ তৈরি হয়। আকাশ ভেবেছিল হয়তো সে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। সে কারণেই বাবাকে খুনের সিদ্ধান্ত। দত্তক নেওয়া ছেলে আকাশ ও তার বন্ধু সিকান্দারকে শুক্রবার রাতেই হাওড়া সিটি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হবে।সংবাদ প্রতিদিন/ এনবিএস/২০২২/ একে