এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:০৯ পিএম
প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চা-ওয়ালা বলেন, কিন্তু যারা চা বাগানে কাজ করেন তাদের দেখেননি: অভিষেক
ভারতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চা-ওয়ালা বলেন, কিন্তু যারা চা বাগানে কাজ করেন তাদের দেখেননি। তিনি আজ (রোববার) মালবাজারে চা শ্রমিকদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।
অভিষেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যেসমস্ত বন্ধ চা বাগান আছে এরকম ৭ টা চা বাগান কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ মোদি সরকার, অর্থাৎ বিজেপি সরকার অধিগ্রহণ করবে এবং খোলার ব্যবস্থা করবে। এটা বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদি কিন্তু বাস্তবায়িত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে বিজেপি যা বলে তা করে না। তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে, সেটা তৃণমূল করে। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।’
তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকদের পিএফ-গ্র্যাচুইটির দাবিতে বড় আন্দোলন হবে। প্রত্যেকটা চা বাগানে আন্দোলন হবে। তারপরে কাজ না হলে জেলার পিএফ অফিস ঘেরাও করবেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজ না হয়, তাহলে ১ জানুয়ারি থেকে বিজেপির এমপিদের বাড়ির বাইরে ১৫ হাজার করে লোক ঘেরাও করবেন। আমি যাব কথা দিয়ে যাচ্ছি।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেককে বাচ্চা পিঠে বেঁধে চা পাতা তুলতে বেরোতে হয়। আমি আপনাদের অসুবিধার কথা জেনেছি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে আপনাদের অসুবিধা হয়। তাই ক্রেশে বাচ্চাদের রেখে আপনার নির্বিঘ্নে কাজে যেতে পারবেন। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এ বার থেকে বাচ্চা নিয়ে কাজে যেতে হবে না। ৫০টি করে বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা হবে। মোট আড়াই হাজার হাজার বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা হবে। প্রথমে একটি ক্রেশে ৫০ টি করে বাচ্চা রাখা গেলেও, পরে সেখানে যাতে ৬০/৭০টি বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা করা যায়, সেই ব্যবস্থাও আমরা করব।’
তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ কথাটা নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। কোনও উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, গৌড়বঙ্গ নয়। কুচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা একটাই বঙ্গ। তার নাম পশ্চিমবঙ্গ। অন্য কোনও বঙ্গ নয়।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে