এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর, ২০২২, ০৯:১০ পিএম
ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে দেশ ভেঙে যেতে পারে: ভাগবত
ভারতে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ’ বা ‘আরএসএস’ প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে দেশ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। তিনি আজ (বুধবার)নাগপুরে সঙ্ঘের দশেরা উৎসব কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।
‘আরএসএস’ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সরকারি নীতির প্রয়োজন। ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে দেশ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।’ তার কথায়, ‘জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ভৌগলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। আর সেই কারণেই একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি আনা উচিত। এবং সকলের জন্যই এটা সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।’
ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস পরিবর্তনের কারণেই সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান, সার্বিয়া ভেঙে কসোভো এবং ইন্দোনেশিয়া ভেঙে পূর্ব তিমোরের মতো নতুন দেশ গঠিত হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোহন ভাগবত।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ‘আরএসএস’ ঘনিষ্ঠ বিজেপি এমপি রাকেশ সিনহা সংসদে বেসরকারী সদস্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। ওই বিলে দুই সন্তানের নিয়ম চালু করার কথা বলা হয়েছিল, এর পাশাপাশি এটি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তিমূলক বিধানেরও কথা বলা হয়েছিল।
ওই ইস্যুতে গত এপ্রিলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া সংসদে বলেন, দেশে প্রজনন হার দুই শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি এটি আরও কমানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও ধারাবাহিকভাবে কমছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘দেশে ১৯৫২ সাল থেকে জনসংখ্যা নীতি চালু রয়েছে এবং এ পর্যন্ত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে তাতে ইতিবাচক ফল এসেছে। উন্নত জীবনযাত্রার জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যাতে নিজেরাই পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ জন্য আইনের প্রয়োজন নেই।’
কিন্তু এবার ফের ‘আরএসএস’ প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোরালো সাফাই দেওয়ায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার কী সেই পথে হাঁটবে এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে।
।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে