এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর, ২০২২, ০৫:১০ পিএম
নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা! সলপে রেলকর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
দশমীর দিন হাওড়ার (Howrah) সলপে (Salap) সুরেশ সাউ নামে এক রেলকর্মীর (railway worker) বস্তাবন্দি মুণ্ডুহীন (headless) মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মিঠুন সাঁতরা নামে এক যুবক ও সুরেশের শালীর ছেলে শেখরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল সুরেশের স্ত্রী রাজেশ্বরী সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক (extramarital affair) ছিল মিঠুনের। কিন্তু এবার সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সুরেশ! সেই ঘটনার পর থেকে স্ত্রী রাজেশ্বরীর সঙ্গে সুরেশের বিবাদ চরমে ওঠে। এমনকি, মাস তিনেক আগে মেয়েকে নিয়ে রাজেশ্বরী বাপের বাড়ি চলে যান। কিন্তু স্বামীর এই আচরণ তার পরেও তিনি মেনে নিতে পারেননি। এরপর তিনি সুরেশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন পুলিশের অনুমান।
সুরেশের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই ঘটনার তদন্ত করতে জগাছা এবং ডোমজুড় থানার পুলিশ নিয়ে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি। তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে জানা যায়, খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখর এবং মিঠুন সাঁতরা। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা সুরেশ সাউ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্মী ছিল। তার দু’টি দূরপাল্লার বাস ছিল। সেই বাসগুলি দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল অভিযুক্ত মিঠুন সাঁতরার উপর। সুরেশের শালীর ছেলে শেখরের সঙ্গে এই মিঠুনের বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা গেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রী রাজেশ্বরীর উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত সুরেশ। এমনকি, নিজের মেয়ের সঙ্গেও শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল সে। এছাড়াও, শেখরের বোনকে সে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যে কারণে সুরেশের উপর রাগ ছিল শেখরের। আরও জানা গেছে, মিঠুনের সঙ্গে সুরেশের স্ত্রী রাজেশ্বরীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পথের কাঁটা সরাতেই সুরেশকে খুন করার পরিকল্পনা করে মিঠুন। তাকে সঙ্গ দেয় শেখর। এরপরে সুরেশকে নিজেদের গ্যারেজে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে অভিযুক্তরা। এরপর তার ধড় ও মুণ্ডু আলাদা করে সেগুলি বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়ে আসা হয় আলাদা জায়গায়।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে