ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

পশ্চিমবঙ্গে মমতার মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ  


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ১০:১১ পিএম

পশ্চিমবঙ্গে মমতার মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ  

পশ্চিমবঙ্গে মমতার মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ  

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিজেপি।  

আজ (সোমবার) রাজ্য বিধানসভার বাইরে ওই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওই বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হন বিজেপি বিধায়করা। আজ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দেন, ‘অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করা মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটকে গ্রেফতার করতে হবে।’ এ সময়ে বিজেপির অন্য বিধায়করা ‘করতে হবে-করতে হবে’ বলে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গলা মেলান।  

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর, আগে তার গ্রেফতারি হোক।’ 

অন্যদিকে, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী এমপি বলেছেন, 'দিদি-মোদি সুসম্পর্ক সারা ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত। ‘দিল্লিতে দোস্তি, পশ্চিমবঙ্গে কুস্তি’ দেখিয়ে কী লাভ। দিদির (মমতা) সঙ্গে মোদির কোনও বিরোধ নেই। অতএব নীচের তলায় বিরোধ করে কোনও লাভ হবে না।’   

আজ (সোমবার) বিধানসভায় রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ওই প্রস্তাব পড়তে না দিয়ে তা খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান  বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। স্পিকার বলেন, যেহেতু ওই মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তাই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করা হল। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। যার ফলে বিধানসভার অধিবেশন-কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা কক্ষের বাইরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে স্লোগান দেন।   

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যসহ আরও কয়েক জন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোলকাতা হাই কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে