ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, নিজের মুখেই বললেন বহেনজি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:০৪ পিএম

প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, নিজের মুখেই বললেন বহেনজি

 প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, নিজের মুখেই বললেন বহেনজি

 ‘প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হতে চাই।’ নিজের মুখেই বললেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী (Mayawati)। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনাও ত্যাগ করেননি তিনি।

হটাৎ করেই বিএসপি (BSP) নেত্রীর এমন বাসনা ব্যক্ত করার কারণ কী? আসলে ক’দিন আগে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বহেনজিকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘প্রস্তুত থাকুন, বিজেপি আপনাকে রাষ্ট্রপতি করবে।’

আসলে বিজেপিকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের ঘরোয়া রাজনীতির সঙ্গে বাংলার বেশ মিল আছে। বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএম তৃণমূলকে আক্রমণ করতে একযোগে ‘দিদি মোদী’ তত্ত্ব প্রচার করে থাকে। তৃণমূলও পাল্টা সিপিএম ও কংগ্রেসকে বিজেপি বান্ধব বলে কটাক্ষ করে। মমতা বন্দ্যপাধ্যায় প্রায়শই জগাই-মাধাই-গদাই বলে বিদ্রুপ করে থাকেন তিন বিরোধী দলকে।

ছবিটা একই উত্তরপ্রদেশে। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি একে অপরকে বিজেপির দালাল বলে সদা আক্রমণ করে থাকে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে। তবে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের আগে অখিলেশ যাদব সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপিকে দান ছেড়ে দিয়েছেন মায়াবতী।

ভোটের ফলে দেখা যায় তিনবারের শাসক দল বিএসপি জিতেছে মাত্র একটি আসনে। ভোটও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তাদের।

এই জানা তথ্যই এখন উত্তরপ্রদেশের বিরোধী রাজনীতিতে নয়া মাত্রা দিয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠানো একটি রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর। রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, বহুজন সমাজবাদী পার্টির ভোট এবার প্রায় পুরোটাই বিজেপি পেয়েছে। সরকার টিকিয়ে রাখাতে ওদের দলিত, বহুজনের ভোট খুব কাজে এসেছে।

সেই রিপোর্টের সূত্র ধরেই অখিলেশ কটাক্ষ করেছেন, মায়াবতীকে বিজেপি এবার রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে ঋণ শোধ করবে। আসলে অখিলেশ এটাও বোঝাতে চেয়েছেন, মায়াবতীর রাজনীতি শেষ। দলটাও উঠে যাওয়ার অবস্থা। এখন তাই নেত্রীর স্থান হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় বৃদ্ধাশ্রমে, অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ভবনে।
সেই কটাক্ষের জবাবেই বহেনজি আজ লখনউতে বলেন, রাষ্ট্রপতি হতে যাব কেন! রাষ্ট্রপতি হয়ে কি দেশের সেবা করা যায়? রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করব বলে। তারজন্য প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। একদিন অবশ্যই দেশের প্রধানমন্ত্রী হব। সুযোগ এলে আবার মুখ্যমন্ত্রীও হতে চাই। অপেক্ষায় আছি।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে