এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৮:১২ পিএম
১০ বছরের বাচ্চার অঙ্ক কষতে হিমশিম, ইংরেজি গ্রামারে ডাহা ফেল করলেন ব্রিটিশ সাংসদরা
অঙ্ক তো নয়, যেন ভয়াঙ্ক।
ইংরেজি গ্রামার..ওরে বাবারে!
এমনই অবস্থা হয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাংসদদের (UK MPs)। ক্লাস ফাইভ-সিক্সের বাচ্চার অঙ্ক কষতে হিমশিম খেতে হল। ইংরেজি ব্যকরণ ভুলে ভরা। পাশ নম্বরটুকুও তুলতে পারলেন না সাংসদরা। ভাল স্কোর করা তো দূরের কথা। দশ বছরের বাচ্চার অঙ্ক কষতে যেখানে নাকানিচোবানি খেতে হয়, সেখানে সাংসদদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। যদিও এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি ঋষি সুনকের মন্ত্রিসভা।
স্কুলে অনাবশ্যক টেস্ট নেওয়া বন্ধ হোক, বাচ্চাদের পরীক্ষা ভীতি দূর করতে একটি ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে পার্লামেন্টে আর্জি জানানো হয়েছিল, স্কুলগুলিতে যখন তখন অনাবশ্যক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করা হোক। এই পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাচ্চাদের কতটা টেনশন হয় সেটা বোঝানোর জন্যই ব্রিটিশ সাংসদদেরও পরীক্ষায় বসানো হয়েছিল। পরীক্ষাহলে তদারকির দায়িত্বে ছিল ১০-১১ বছরের পড়ুয়ারা। শর্ত ছিল, ভাল নম্বর তুলতে হবে সাংসদদের। ক্লাস ফাইভ-সিক্সের অঙ্ক ও ইংরেজি গ্রামারের প্রশ্নই দেওয়া হয় তাঁদের। আর সেই প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে ভয়ানক অবস্থা হয় সাংসদদের (UK MPs)।
টানটান ৬০ ঘণ্টা! উদ্ধার করা যায়নি গভীর কুয়োয় পড়া ছোট্ট তন্ময়কে, সাড়া মিলছে না তার
পরীক্ষায় বসেছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের শিক্ষা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রবিন ওয়াকার। তাঁর সঙ্গেই অন্যান্য সাংসদরা ছিলেন। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, ৪৪ শতাংশ সাংসদ কোনওমতে অঙ্কে পাশ করেছেন, বাকিরা ফেল। আর ইংরেজি গ্রামার লিখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে সাংসদদের। মাত্র ৫০ শতাংশ ইংরেজিতে পাশ নম্বর ছুঁয়ে গেছেন। বাকিরা লিখতেই পারেননি।
সাংসদদের পরীক্ষা নিয়ে সরকারি স্তরে কিছু বলা না হলেও, রবিন ওয়াকার বলেছেন, এই পরীক্ষা দেওয়ার পরেই বুঝতে পেরেছি, বাচ্চাদের ওপর কতটা চাপ পড়ে। পরীক্ষা খুবই কঠিন ছিল, আর এত বছর পরে পরীক্ষাহলের টানটান উত্তেজনায় সকলেরই মাথা গুলিয়ে গিয়েছিল। সকলেই অঙ্ক ভুল করে, গ্রামারও ভুল লেখে। ক্লাস ফাইভের বাচ্চার অঙ্ক আর গ্রামারে যা স্কোর, তার সিকিভাগও পাননি সাংসদরা।
তবে এর পরেও স্কুলগুলিতে ঘন ঘন পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম বন্ধ হবে কিনা জানা নেই। চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রবিন ওয়াকার। তিনি জানান, বাচ্চাদের পড়াশোনায় ভীতি নয়, আগ্রহ তৈরি করাই আসল উদ্দেশ্য। সেই ব্যবস্থাই করা হবে।
খবর দ্য ওয়ালের / এনবিএস/২০২২/একে