এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ০৩:০৪ পিএম
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে গণহারে ওয়াকআউট করেছেন শ্রীলংকার শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মীরা
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনেতিক সংকটের কারণে প্রেসিডেন্ট গৌতব্য রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার গণহারে ওয়াকআউট করে রাজপথে আন্দোলনে নামেন শ্রীলংকার শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকেই কলম্বোর অনেক স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি ট্রেন স্টেশন নির্জন হয়ে পড়ে।রয়টার্স
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শতশত কর্মী কালো পতাকা বহন করে অন্যান্য ব্যাংক ও ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। সারা দেশের শত শত মানুষ এই মিছিলে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্টের অফিসের সামনে জড়ো হন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে আগামী ৬ মে থেকে চলমান ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা।
ব্যাংক কর্মী সামন্তি একনায়েকে (৩৪) বলেন, ‘এই সরকার আমাদের দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিদিন খরচ বাড়ছে, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। জ্বালানি নেই। বাড়িতে বিদ্যুত নেই, রান্নার গ্যাস নেই। আমরা একের পর এক ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিতে ক্লান্ত।’
প্রেসিডেন্ট গৌতব্য রাজাপাকসে এই সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ইচ্ছের কথা বলেছেন। তবে তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা অব্যাহত রয়েছে।
দুই বিরোধী দল সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) এবং তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র নালাকা গোদাহেওয়া বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আর্থিক সংকটের সমাধানকে আরো কঠিন করে তুলবে। তাই পার্লামেন্টে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া অপরির্যাহ, সরকার এই লক্ষ্যে কাজ করছে।