ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

হিমাচলে কোন অঙ্কে বাস চালকের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করল কংগ্রেস


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:১২ পিএম

হিমাচলে কোন অঙ্কে বাস চালকের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করল কংগ্রেস

হিমাচলে কোন অঙ্কে বাস চালকের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করল কংগ্রেস

ভূপেন্দ্র প্যাটেলই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ভোটের দিন ঘোষণার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। গত বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণার আগে বিজেপি ঘোষণা করে দেয়, ভূপেন্দ্র শপথ নেবেন সোমবার। তখনও হিমাচলে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের (congress) মধ্যে জোর টক্কর চলছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস জয় ছিনিয়ে নিলেও আজ সকালেই যে তাদের নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন, অনেকেই তা ধারণা করতে পারেননি। আজ বেলা ১১’টায় হিমাচলপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী (Himachal Pradesh CM) হিসাবে শপথ নেবেন সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhwinder Singh Sukhu)।

যদিও নির্বাচনী প্রচার এবং গত দু’দিনের রাজনৈতিক ওঠানামা থেকে ধারণা তৈরি হয়েছিল বীরভদ্র পরিবারের হাতেই থাকবে পাহাড়ি রাজ্যটির ক্ষমতার রাশ। কংগ্রেসের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংহের ছবি এবং কাজের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেই হিমাচলে বিজেপির বিকল্প হতে পেরেছে কংগ্রেস, এ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। শুধু নিজে ছয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নয়, প্রয়াত বীরভদ্রর কাঁধে ভর করে ইতিমধ্যে ৩৭ বছর হিমাচল শাসন করেছে কংগ্রেস।

প্রয়াত বীরভদ্রের স্ত্রী প্রতিভা বর্তমানে কংগ্রেসের সাংসদ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ছেলে বিক্রমাদিত্য এবার বিধায়ক হয়েছেন। মা ও ছেলে, দু’জনেরই স্বপ্ন ছিল বীরভদ্রের শূন্য আসনে বসার।

কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড শুধু সুখুকে বেছে নিয়েছে তাই নয়, তাঁর নাম ঘোষণার পর কয়েক ঘণ্টার নোটিসে শপথ গ্রহণ হতে চলেছে। কংগ্রেসে এমন তৎপরতার নজির কমই আছে।

কেন বীরভদ্রের পরিবারের হাতে হিমাচলের ক্ষমতার ভার দিল না কংগ্রেস হাইকমান্ড? কংগ্রেস মহলের ব্যাখ্যা, বীরভদ্র বেঁচে থাকলে হয়তো এমন সিদ্ধান্ত করা কঠিন হত। কিন্তু রাহুল গান্ধী চাইছেন দলকে নতুন পথে চালিত করতে। বীরভদ্র যেমন কংগ্রেসের প্রাণভোমরা ছিলেন, তেমনই হিমাচলের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রাসাদ রাজনীতির প্রতীক। প্রতিভাকে কংগ্রেস কর্মী এবং সাধারণ মানুষ ‘রানি সাহেবা’ বলে সম্মোধন করে।

বিজেপির হালের মণ্ডল, দলিত রাজনীতির কথা মাথায় রেখে রাহুল, প্রিয়ঙ্কারা বেছে নিয়েছেন সুখুকে। তিনি এক সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন হিমাচল রাজ্য সড়ক পরিবহণের বাস চালক। সুখু নিজের চেষ্টায় চারবারের বিধায়ক। প্রতিভার আগে তিনিই ছিলেন হিমাচল কংগ্রেসের সভাপতি। রাজনীতি শুরু করেছিলেন সিমলা পুর নিগমের কাউন্সিলর হিসাবে।

বীরভদ্রের অনুগামীরা প্রতিভাকে মুখ্যমন্ত্রী এবং ছেলে বিক্রমাদিত্যকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন। কংগ্রেস হাইকমান্ড দ্বিতীয় দাবিটিতেও কর্ণপাত করেনি। তবে সমঝোতা সূত্র হিসাবে প্রতিভা শিবিরের বিধায়ক মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে সুখুকে মুখ্যমন্ত্রী করার পিছনে বিধায়কদের উপর তাঁর প্রভাবও প্রবলভাবে কাজ করেছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে খবর ছিল, নব নির্বাচিত ৪০ বিধায়কের মধ্যে ২৫ জন সুখুর অনুগামী। এই ভারসাম্য এধার-ওধার করার সুযোগ না দিতেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় দল।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে