প্রথমবার সিরিজ জিতেছি, আমার ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বড় কিছু হয় না: লিটন দাস

রথমবার ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পান লিটন দাস। নেতা হিসেবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টস ভাগ্যে জয় হয়েছিল তার। শুরুটা এখান থেকেই। প্রথম ম্যাচে এক উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল তার দল। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ের পর এবার শেষ ম্যাচে বড় হার। সিরিজ শেষটা হতাশার হলেও অধিনায়ক হিসেবে লিটনের শুরটা দুর্দান্ত হয়েছে। কারণ এক ম্যাচ হাত রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল লিটনের দল। অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক সিরিজে দলের এমন পারফরম্যান্সে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে দুইশোর আগে আটকে রেখে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে সহজ লক্ষ্যকে কঠিন করে ফেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অবশ্য শেষ জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ-মুস্তাফিজুর রহমানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয় পায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস ভাগ্য ছিল লিটনের পক্ষে। এবার আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে টপ অর্ডার ব্যর্থতায় শঙ্কার মেঘ জমে বাংলাদেশের আকাশে। তবে আবারও ত্রাণকর্তার ভূমিকায় 'ম্যাজিকাল মিরাজের'। এই অলরাউন্ডারের অভিষেক সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো পুজিঁ পায় বাংলাদেশ।

এরপর বোলিংয়েও দুর্দান্ত ছিলেন মিরাজ। বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেছেন তিনি। পাশাপাশি এবাদত হোসেন-মুস্তাফিজরাও দুর্দান্ত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল হাতে জ্বলে ওঠেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। এই ম্যাচে ৫ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল লিটনের দল।

তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে তারা। ইশান কিষাণের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান তোলেছে তারা। জবাবে ১৮২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ২২৭ রানের হারে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, আমি অনেক খুশি। দলের সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সবসময়েই সবাই এটা করে থাকে। এইদিক দিয়ে আমি কখনও চাপ অনুভব করিনি। প্রথমবারে সিরিজ জিতেছি, এর চেয়ে বড় কিছু আর হয় না। হয়তো শেষ ম্যাচটা জিতলে আরও বেশি ভালো হত, সবমিলিয়ে খারাপ না।

এনবিএস/ওডে/সি