এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
আমেরিকা জাতিসংঘকে রাজনৈতিক ইচ্ছেপূরণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে’
মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি সংস্থা থেকে ইরানের সদস্যপদ বাতিলের ঘটনাকে বেআইনি বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরান বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষণা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
৫৪ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল বা ‘ইকোসোক’ মঙ্গলবার আমেরিকার পক্ষ থেকে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাস করে ওই কাউন্সিলে ইরানের সদস্যপদ বাতিল করে। এ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে ২৯টি দেশ ‘হ্যাঁ’ ভোট এবং ৮ দেশ ‘না’ ভোট দেয়। আর ১৬ দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। ইরান ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ওই কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি পাসের ফলে ইরান বাকি মেয়াদে আর এটির সদস্য থাকবে না। ইরানে নারী অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে আমেরিকা।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি গতকাল (বুধবার) বলেছেন, আমেরিকা সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েও প্রস্তাবটিকে সর্বসম্মতিক্রমে পাস করাতে পারেনি। এছাড়া, এটি জাতিসংঘ ঘোষণার পরিপন্থি এবং আমেরিকা এ পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিসংঘে একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করল।কানয়ানি আরো বলেন, আমেরিকা জাতিসংঘকে তার একতরফা রাজনৈতিক ইচ্ছেপূরণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।
ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং ইরানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে মার্কিন উস্কানির কথা উল্লেখ করে কানয়ানি বলেন, ইরানের জনগণ ও নারী অধিকারের সবচয়ে বড় লঙ্ঘনকারী ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরানি জনগণ ও তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এমন কোনো কাজ নেই যা আমেরিকা করেনি। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে আজ কোন মুখে মার্কিন সরকার ইরানি নারীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলছে?
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে