এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
গুজরাটের গোধরাকাণ্ডে ১৭ বছর পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন ফারুক
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গুজরাটের গোধরাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া অন্যতম ফারুককে জামিন দিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সর্বোচ্চ আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে তার আবেদন ২০১৮ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়েছে, ফারুক ২০০৪ সাল থেকে কারাগারে রয়েছে। তিনি গত ১৭ বছর ধরে কারাগারে আছেন। তাই তাকে জামিন দেওয়া উচিত।
জামিনের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘এটি ছিল সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের একটি। মানুষকে ট্রেনের বগিতে বন্দী করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সাধারণ পরিস্থিতিতে পাথর নিক্ষেপ করা একটি কম গুরুতর অপরাধ হতে পারে, কিন্তু এটি ভিন্ন বিষয়।’
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে জনতা আগুন দিয়েছিল। ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী ৫৯ জন করসেবক নিহত হন। এর পরে, গুজরাটে ২০০২ সালে মুসলিমবিরোধী ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। এতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। বেসরকারি হিসাবে অবশ্য এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুকের বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপ ও হত্যার মামলা প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গোধরাকাণ্ড পরবর্তী মামলায় প্রায় ৯ বছর পর ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২০১১ সালে বিশেষ তদন্ত টিম ‘এসআইটি’ আদালত ১১ জন দোষীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জন আসামির মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করে। ফারুক ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ মে আরেক আসামি আব্দুল রহমান ধন্তিয়াকে ৬ মাসের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছিল। আব্দুল রহমানের স্ত্রীর টার্মিনাল ক্যান্সার এবং তার মেয়েরা মানসিকভাবে অসুস্থ। ১১ নভেম্বর তার জামিন ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে