ঢাকা, সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Logo
logo

ওয়াশিংটনের মানবাধিকারের রেকর্ড অন্ধকার; দ্বিচারিতা থামান


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:১২ পিএম

ওয়াশিংটনের মানবাধিকারের রেকর্ড অন্ধকার; দ্বিচারিতা থামান

ওয়াশিংটনের মানবাধিকারের রেকর্ড অন্ধকার; দ্বিচারিতা থামান

ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলীতে হস্তক্ষেপমূলক মন্তব্য করায় মার্কিন কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোনা করেছে তেহরান।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, আমেরিকার মানবাধিকারের অন্ধকার রেকর্ড সম্পর্কে বিশ্ববাসী পরিপূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে এবং তারা ওয়াশিংটনের তেহরানবিরোধী স্টান্টবাজিতে আর প্রতারিত হবে না।

তিনি বৃহস্পতিবার তেহরানে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, “মার্কিন রাষ্ট্রনায়কদের ভণ্ডামি ও ক্রমাগত মিথ্যাচার সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের অন্ধকার মানবাধিকারের রেকর্ড বিশ্ববাসীর ভালোভাবেই জানা আছে এবং তাদের বাগাড়ম্বর ও রাজনৈতিক হুমকি ধমকির মাধ্যমে বিশ্বজনমত আর প্রতারিত হবে না।”

কানয়ানি বলেন, মার্কিন সরকার সব সময় মানবাধিকার প্রসঙ্গে দ্বৈত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অব্স্থান নিয়েছে এবং বিষয়টিকে তার অশুভ লক্ষ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সর্বসাম্প্রতিক মন্তব্য প্রমাণ করে যে, ওয়াশিংটন ইরানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে এবং কথিত মানবাধিকার, নারী ও কারাবন্দিদের অধিকার রক্ষার অজুহাতে এদেশের দাঙ্গাবাজদের উস্কানি দিচ্ছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বুধবার জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি সংস্থা থেকে ইরানের নাম বাদ দেয়ার ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় আন্তর্জাতিক সমাজ নারীদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে ইরান সরকারকে জবাবদিহীতার আওতায় নিয়ে আসতে চায়।

এ সম্পর্কে কানয়ানি বলেন, ইরানি নারীদের মানবাধিকারের প্রতি আমেরিকার দরদ এমন সময় উথলে উঠেছে যখন গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তেহরানের ওপর কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এই নারীদের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করে এসেছে আমেরিকা। তিনি মানবাধিকার প্রসঙ্গে দ্বিচারিতা বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে