এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৭:১২ পিএম
বিএনপি জামাতের রাষ্ট্র সংস্কারে আন্দোলনের ঘোষণা ধর্মান্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার মাত্র: রাশেদ খান মেনন
“মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসে বিএনপি জামাতের ১০ দফা ঘোষণা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র। এদেশের জনগণ অবশ্যই জানেন সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সংবিধান বদলিয়ে যে রাষ্ট্র চরিত্র নির্ধারণ করেছিলেন তা ছিল প্রগতির বিরুদ্ধে পশ্চাতপদতার সংস্কার। পুনরায় ঐ অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাঁচা মিলনায়তনে আজ ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর ৮ম কাউন্সিল উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেনন উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্মের মধ্যেই সমাজতন্ত্রের আকাঙ্খা প্রতিফলিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েছিলেন শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন বলে। যুবমৈত্রীর কর্মীদের আজ বাংলাদেশের দূর্দশা ঘুচাতে লড়াইয়ের রাস্তায় নামতে হবে।
কাউন্সিলের বিশেষ অতিথি যুবমৈত্রী প্রতিষ্ঠা সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, “৮০ দশকে যুবমৈত্রী প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো সামরিক শাসন বিরোধী লড়াইয়ের গর্ভে। যুব মৈত্রী একটি লড়াইয়ের সংগঠন। এদেশে বিএনপি জামাতা বিরোধী লড়াইয়ে গনতন্ত্র নির্বাচন অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব মৈত্রীকে নেতা রাসেল আহমদ খান শহীদ হয়েছিলেন। যুবমৈত্রীকে আগামী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী দিনে ঘুষ-দূর্নীতি-লুটপাট, বৈষম্য বিরোধী লড়াইয়ে নামতে হবে। ‘৭২ এর সংবিধান প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন যুব মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য, জননেতা কমরেড নুর আহমদ বকুল বলেন, যুব মৈত্রীকে লড়াইয়ের ঐতিহ্যে ফিরে আনতে হবে। প্রতিটি কর্মীকে সমাজ বদলের আর্দশে বলিয়ান হতে হবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স। সভা পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সানি উদ্বোধনী অধিবেশনে অতিথিবৃন্দকে সম্মামনা ক্রেস প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স।