এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১০:০৪ পিএম
রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার রুল জারি কলকাতা হাইকোর্টের
রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আদালতের নির্দেশের অমান্য করায়, তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন।
তাঁকে ২০ মের মধ্যে জানাতে হবে, কেন তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার এক মামলায় বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাঘ্যায় মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে নির্দেশ না মানার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেন। তিনি একই অভিযোগ আনেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধেও। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সনৎকুমার ঘোষ পেনশন স্কিম চালু করার আবেদন জানিয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেই মুখ্যসচিব-সহ তিন সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জরি করেন। পরিবহণ সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সনৎকুমার ঘোষ অবসরপ্রাপ্তকর্মীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করার আবেদন মামলা করেন।
এই মামলায় বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব, পরিবহণ সচিব ও অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে কী পরিকল্পনা করা যায়, সেটি নির্ধারণ করতে হবে। এরপর আটমাস কেটে গেলেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি। এদিন সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট রুল জারি করে মুখ্যসচিব, পরিবহণ সচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধে।
এবারই প্রথমবার নয়, এর আগেও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অর্থসচিব মনোজ পন্থের বিরুদ্ধে রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই আমলাকে আদালত অবমাননার অভিযোগে জবাব দেওয়ার নির্দেশ জারি করে ববি শরাফের সিঙ্গল বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি অনুমোদন দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারেকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে শুনানি চলাকালীন ওই স্কুলটিকে সরকারি অনুমোদন দিতে রাজি হয়ে যায় রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর। নিয়মমাফিক স্কুল যখন সরকারি তকমা পায়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের যাবতীয় খরচ বহন করতে হন রাজ্যকে। ফলে চূড়ান্ত অনুমোদনের পাওয়ার পরও অনুগান না মেলায় অর্থসচিবের উপর দায় বর্তায়।
কলকাতা হাইকোর্টে ছ সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন নোবল মিশন স্কুলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার জন্য। কিন্তু মুখ্যসচিব সেই অনুমোদন দেননি। বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন অর্থসচিবও। তাই রুল জারি করেই ক্ষান্ত থাকেননি বিচারপচি। ওই বিষয়ে জবাবও চেয়েছে হাইকোর্ট। তারপর ফের একবার আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হল মুখ্যসচিবে। খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে