এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৪:১২ পিএম
মদ খেয়ে গাড়ি চালালে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন, জমা হবে না গাড়িও, নিয়ম শিথিল লালবাজারের
মদ্যপ অবস্থায় (intoxicated) গাড়ি চালালে (Driving) আগে যে কড়াকড়ি ছিল কলকাতা পুলিশে (Kolkata Police) তা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের উপর মহল থেকে সমস্ত থানা, ট্রাফিক গার্ডকে মৌখিকভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, আগের মতো বাইক, গাড়ি বা চালককে আটক করে কোর্টে চালান করা যাবে না। ব্যক্তিগত বন্ডে (Personal Bond) জামিনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগে নিয়ম কী ছিল?
মদ্যপ অবস্থায় কেউ মোটরসাইকেল বা গাড়ি চালালে সেই গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যেত। সেইসঙ্গে নিয়ে যাওয়া হত চালককেও। কোনও উকিলকে ডেকে আনতে পারলে জামিন মিলত চালকের। নইলে পরের দিন গাড়ি-সহ চালককেও তোলা হতো কোর্টে। সেখান থেকে জামিন নিয়ে গাড়ি ফেরত পাওয়া যেত। সেইসঙ্গে জরিমানা তো ছিলই।
এখন কী হল?
নতুন অভ্যন্তরীণ মৌখিক নির্দেশে বলা হয়েছে, গাড়ি ও চালককে থানায় নিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের সুযোগ দিতে হবে। অর্থাৎ ধরা যাক, কোনও এক বাইক আরোহী মদ্যপ অবস্থায় রুবি মোড়ে ধরা পড়লেন। তাঁকে গাড়ি-সহ কসবা থানার পুলিশ থানায় নিয়ে যাবে।
তারপর ওই ব্যক্তি ডেকে পাঠাতে পারবেন বাড়ির লোক বা নিকট কাউকে। তিনি এসে ব্যক্তিগত বন্ডে আটক থাকা মদ্যপ ব্যক্তিকে জামিন করাতে পারবেন। সেইসঙ্গে গাড়িও নিয়ে যেতে পারবেন। তবে যে নিকটজন বা বন্ধু আসবেন ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন করাতে তাঁকে ব্যক্তিকে স্বাভাবিক থাকতে হবে। তিনি মদ্যপ থাকলে তাঁর হাতে গাড়ি ছাড়বে না পুলিশ।
জরিমানার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মোটর ভেহিকলস আইনে মামলা হবে। তারপর আদালতে যেভাবে জরিমানা জমা দিতে হয় তা করতে হবে চালককে। অর্থাৎ গাড়ি আটকে থাকার ঝক্কি পোহানো থেকে রেহাই মিলবে।
সম্প্রতি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তি উস্তাদ রসিদ খানের গাড়ি, চালক ও নিরাপত্তারক্ষীকে আটকে রাখা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির চালকরা অভিযোগ করেন, কেস দিতে হবে বলেই বহু জায়গায় টাকা তোলার জন্য কেস দিচ্ছে। হতে পারে সেইসব বিতর্ক ও নাগরিক ক্ষোভ প্রশমিত করতেই এই শিথিলতার কথা ভেবেছে লালবাজার।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে