ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

হইহই করে বিশ্বকাপ দেখল, সকালে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে! ডায়রিতে লেখা, ‘কেউ ভালবাসে না’


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৪:১২ পিএম

হইহই করে বিশ্বকাপ দেখল, সকালে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে! ডায়রিতে লেখা, ‘কেউ ভালবাসে না’

হইহই করে বিশ্বকাপ দেখল, সকালে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে! ডায়রিতে লেখা, ‘কেউ ভালবাসে না’

 বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল আনন্দ করে দেখছিল মেয়ে। রবিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে একসাথে ডিনারও সারে। তারপরে নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যায়। সকালে সেই মেয়েকেই সিলিং থেকে ঝুলতে দেখেন বাবা-মা। ১৯ বছরের হাসিখুশি মেয়েটা কি আত্মহত্যা (Suicide) করল? কিন্তু কেন? রাত অবধি তো আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি! এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবারের লোকজনের মনে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন বাবা-মা।

রবিবার খেলা দেখে ১২টার মধ্যেই ঘুমোতে চলে যায় মেয়ে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান মা। শেষে পরিবারের সকলে এসে দরজা ভেঙে স্তম্ভিত হয়ে যান। এমন দৃশ্য দেখতে হবে তা তাঁরা কল্পনাতেও ভাবেননি। দেখা যায়, ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। নেতাজি নগর থানার পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, নাকতলার (Kolkata) বাসিন্দা ১৯ বছরের ওই তরুণী কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল সে। আচমকাই এই চরম পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি, তবে একটি ডায়রি পাওয়া গেছে মেয়েটির ঘর থেকে।


পুলিশ জানাচ্ছে, ওই ডায়রিতে নানা সময়ের টুকরো টুকরো কিছু কথা লেখা গেছে। যা দেখে অনুমান করা হয়েছে, মেয়েটি প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিল। অবসাদে ভুগছিল সে। যেমন ডায়রির এক জায়গায় লেখা ছিল, “আমাকে কেউ ভালবাসে না…।” আর একটি পাতায় সেখাছিল “আমি কিছু করতে পারছি না।” চরম হতাশা থেকেই কি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে মেয়েটি? সেটা এখনও বুঝতে পারেনি পুলিশ।

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই হয়ত আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। তাঁর বন্ধুবান্ধব ক’জন ছিল, তাদের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক কেমন, প্রেম ছিল কিনা, কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল কিনা ইত্যাদি নানাদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে