এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৮:১২ পিএম
ভারত সীমান্তে চীনের ক্রমাগত অনুপ্রবেশ খুবই উদ্বেগের: সোনিয়া গান্ধী
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, আমাদের সীমান্তে চীনের ক্রমাগত অনুপ্রবেশ খুবই উদ্বেগের বিষয়!
তিনি আজ (বুধবার) সংসদের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, আজ চীন ইস্যুতে আলোচনাসহ বিভিন্ন দাবিতে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। ১২টি বিরোধী দলের এমপি ওই কর্মসূচিতে শামিল ছিলেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইউপিএ’ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও। এ সময়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তানাশাহী বন্ধ করো, মোদী শাহী বন্ধ করো, গণতন্ত্র হত্যা বন্ধ করো, চীন বিষয়ে আলোচনা শুরু করো, প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন ইত্যাদি শ্লোগানে সোচ্চার হন।
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে আজ সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘সমগ্র দেশ আমাদের সজাগ জওয়ানদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা কঠিন পরিস্থিতিতে ওই আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই বিষয়ে সংসদে আলোচনার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে আসছে। ফলস্বরূপ, সংসদ, রাজনৈতিক দল এবং জনগণ প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নয়।’
তিনি বলেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময় সংসদকে আস্থায় নেওয়া আমাদের দেশে একটি ঐতিহ্য। একটি বিতর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উপর আলোকপাত করতে পারে। চীন কেন ক্রমাগত আমাদের আক্রমণ করতে প্রস্তুত? এই আক্রমণগুলো মোকাবেলার জন্য কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং কী করা দরকার? ভবিষ্যতে চীনের অনুপ্রবেশ রুখতে সরকারের নীতি কী? চীনের সাথে একটি গুরুতর বাণিজ্য ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে, আমরা রফতানির চেয়ে অনেক বেশি আমদানি করছি, কেন চীনের সামরিক শত্রুতার কোন অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া নেই?’
সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, ‘একটি খোলামেলা আলোচনা জাতির প্রতিক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। জনসাধারণকে অবহিত করা এবং তার নীতি ও কর্ম ব্যাখ্যা করা সরকারের দায়িত্ব। এ ধরণের গুরুতর জাতীয় উদ্বেগের বিষয়ে সংসদীয় বিতর্কের অনুমতি দিতে অস্বীকার করা আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি অসম্মান এবং সরকারের উদ্দেশ্যের প্রতি তা খারাপভাবে প্রতিফলিত হয়। এটি জাতিকে একত্রিত করতে তার অক্ষমতার পরিচয় দেয়। বিপরীতে, বিভেদমূলক নীতি অনুসরণ করে ঘৃণা ছড়ানো এবং আমাদের সমাজের কিছু অংশকে নিশানা করে, সরকার দেশের জন্য বিদেশী হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কঠিন করে তোলে। এই ধরনের বিভাজন আমাদের দুর্বল করে এবং আরও দুর্বল করে তোলে। এমন সময়ে সরকারের প্রচেষ্টা এবং দায়িত্ব হওয়া উচিত আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং তাদের বিভক্ত না করা, যেমনটি গত কয়েক বছর ধরে করে আসছে’ বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
খবর পার্সটুডে /এনবিএস/২০২২/একে