এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:১২ পিএম
ত্রিপুরা বিজেপিতে উদ্বেগ! অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় ম্যাজিক ফিগার নেই, ভরসা মোদী-শাহে
ক্যালেন্ডার ২০২৩-এ ঢুকে গেলেই ভোটের মরশুম শুরু হয়ে যাবে ত্রিপুরায় (Tripura)। নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে তা হওয়ার কথা ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু তার আগে দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় (Internal Survey) উঠে আসা ছবিতে কিছুটা উদ্বেগে ত্রিপুরা বিজেপি (BJP)।
ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে খবর, দলের জনভিত্তি, এখনই ভোট হলে কত আসন পেতে পারে এইরকম একটা অনুমান পেতে পেশাদার সংস্থাকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরে সেই সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এখনই ভোট হলে ত্রিপুরায় বিজেপি মেরেকেটে ২২টি আসন পেতে পারে।
ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট আসন ৬০টি। ২০১৮ সালের ভোটে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩৬টি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেয়েছিল আটটি। অন্যদিকে সিপিএম তথা বামেরা পেয়েছিল ১৬টি আসন।
এই পাঁচ বছরে ত্রিপুরার রাজনীতির সমীকরণ অনেক বদলে গিয়েছে। জনজাতি ভোটকে এককাট্টা করা আইপিএফটি পার্টিটাই উঠে গিয়েছে এই সময়ের মধ্যে। নতুন দল হিসেবে তিপ্রা মথা মাথা তুলেছে। ত্রিপুরা রাজবাড়ির ছেলে প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মনের দল এডিসি (স্বশাসিত জেলা পরিষদ) ভোটে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে।
ভোটের আগে মথার সঙ্গে বিজেপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই প্রদ্যোতকে বার্তা দেওয়া শুরু করেছেন বলে খবর।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, জনজাতি অধ্যুষিত ১৪টি আসনে মথার কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই তারা চাইবে, ভোটের পর বিজেপির সংখ্যা কম পড়লে দরাদরির রাজনীতি করতে।
অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার নম্বর নিয়ে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও নেতাদের অনেকেই মনে করছেন ছবি পাল্টাবে।নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের গোড়া পর্যন্ত হওয়া এই সার্ভেতে যা উঠে এসেছে তা বদল হতে শুরু করবে জানুয়ারি পড়লেই। কারণ একাধিকবার ত্রিপুরায় যাবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। সেই সময়ে অনেক কিছু বদলাবে।
এমনিতেই ত্রিপুরা বিজেপিতে ত্রিকোণ দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। বিপ্লব দেবের একটা গোষ্ঠী। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার একটা গোষ্ঠী। আবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির জন্য ভিতরে ভিতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও দৌত্য চালাচ্ছেন বলে খবর। যা নিয়ে কেন্দ্রের নেতারাও বিরক্ত।
একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিল বিজেপি। তিনটের ক্ষেত্রেই বিজেপির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা ১৮ থেকে ২২ টির মধ্যে রয়েছে।
যদি এই ছবি থেকে যায় তাহলে ত্রিপুরার অঙ্ক জটিল হয়ে যাবে। বিজেপি যদি বাইশে আটকে যায়, মথা যদি ১৪টির মতো পায় তাহলে বলাই বাহুল্য বাম-কংগ্রেস মিলিয়ে বাকি ২৪টি আসন পাবে। তখন মথাই হয়ে উঠবে ফ্যাক্টর।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে