ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই কড়া ব্যবস্থা, হাই কোর্টে হলফনামা জমা রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম

বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই কড়া ব্যবস্থা, হাই কোর্টে হলফনামা জমা রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের

বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই কড়া ব্যবস্থা, হাই কোর্টে হলফনামা জমা রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের

চার বছর আগে সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়াই নেবে রাজ্যের বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসগুলি। কোনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা হবে। কলকাতা হাই কোর্টে এই মর্মে হলফনামা জমা দিলেন পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

করোনাকালে বাস বন্ধ ছিল বহুদিন। তার ফলে আয় কমে বাসমালিক, বাসচালক এবং বাসকর্মীদের। তার উপর আবার ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ও ডিজেলের দাম। সব মিলিয়ে বাস চালু শুরু হলেও আয় প্রায় তলানিতে ঢেকেছে বলেই দাবি। তাই বহুক্ষেত্রেই যাত্রীদের অভিযোগ, বেসরকারি বাস নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে। তার ফলে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এমনই ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছিল হাই কোর্ট। তাই হলফনামা জমা দিয়েছেন পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব। সর্বনিম্ন ৭ টাকা এবং মিনিবাসে সর্বনিম্ন ৮ টাকা করে ভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য।

কয়েকদিন আগে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য। সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করে পরিবহণ দপ্তর। হলফনামা দিয়ে আদালতে তিনি জানান, ২০১৮ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ভাড়া নির্ধারিত করেছিলেন তা মেনেই ভাড়া নেবে বাসগুলি। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কড়া পদক্ষেপ করতে রাজ্যের পরিবহণ সচিব এবং ডিরেক্টরকে বেশ কয়েক দিন আগে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দেন বিশেষ সচিব।

আদালতে পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব জানান, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠলে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং পরিবহণ দপ্তরের সব আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের স্মরণ করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা বা রেট চার্ট। মামলকারীকে হাই কোর্টের নির্দেশ, হলফনামা অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি মনে হয় এই নির্দেশের অন্যথা হচ্ছে প্রয়োজনে আদালত অবমাননার মামলা করা যেতে পারেন। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে